পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/৯২

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
ধর্ম্মমাণিক্য ও রাজমালা

(৬)

ধর্ম্মমাণিক্য ও রাজমালা

 মহারাজ ধর্ম্মমাণিক্য রত্নমাণিক্যের অধস্তন তৃতীয় পুরুষ। মহামাণিক্যের পাঁচ পুত্র ছিল। তন্মধ্যে ধর্ম্মই জ্যেষ্ঠ, যৌবনের সঙ্গেই ধর্ম্মের বৈরাগ্য উপস্থিত হয়। তিনি সন্ন্যাসী হইয়া বাহির হইয়া যান এবং তীর্থে তীর্থে ঘুরিয়া অবশেষে কাশীধামে উপনীত হন। একদিন পথশ্রান্ত হইয়া তিনি মণিকর্ণিকা ঘাটের বৃক্ষমূলে নিদ্রিত আছেন এমন সময় এক সর্প তাঁহার মাথার উপর ফনা ধরিয়া রৌদ্র নিবারণ করিতেছিল। এই দৃশ্য কান্যকুব্জবাসীয় এক ব্রাহ্মণ দেখিতে পাইয়া ব্যস্ত হইয়া সন্ন্যাসীকে জাগাইলেন। ব্রাহ্মণ ধর্ম্মের পরিচয় জানিতে চাহিলে ধর্ম্ম বলিলেন, তিনি সুদূর ত্রিপুরা হইতে আসিয়াছেন। ব্রাহ্মণ বলিলেন—“হে কুমার, তুমি দেশে ফিরিয়া যাও, তোমার জন্য রাজমুকুট অপেক্ষায় রহিয়াছে।” ধর্ম্ম বলিলেন—“আমি যাইতে পারি যদি আপনার ন্যায় ব্রাহ্মণ আমার অনুগমন করেন।” ব্রাহ্মণ সম্মত হইলেন। এদিকে ত্রিপুরার লোক ধর্ম্মকে খুঁজিতে আসিয়া কাশীধামে তাঁহাকে দেখিতে পাইয়া বলিল—“কুমার, তুমি সন্ন্যাসী হইয়া দেশে দেশে ফিরিতেছ আর আমরা তোমাকে খুঁজিয়া মরিতেছি, দেশের জন্য তোমার