তো এদিকে সাকুল্যে দুজন। অন্য রাস্তায় দলিল হাতাবার চেষ্টা কেন করছি, বুঝলি তো বাঁদর!
ভিখু উত্তর দিল, সর্দ্দার, তাই বা হবে কেমন ক’রে শুনি। দুজন মিলে বাড়ি চড়াও ক’রে কোনও কাজ হবে?
সর্দ্দার বলিল, সে কাজ আমি করব রে উল্লুক, গায়ের জোরে যেখানে কাজ না হয় সেখানে বুদ্ধিতে কাজ হাসিল করতে হয়।
ভিখু ছিলিমে একটা লম্বা টান মারিয়া চুপ করিয়া বসিয়া দেখিতে লাগিল, গাঁজার ধূম্রকুণ্ডলী পাকাইয়া পাকাইয়া উপরে উঠিতেছে।
কিয়ৎকাল নীরব থাকিয়া ধীরে ধীরে মাথা নাড়িয়া সে বলিয়া উঠিল, না, না সর্দ্দার, আমি তো ভেবেই ঠিক করতে পারছি না, তুমি কেমন ক’রে কাজ হাসিল করবে। আর একটা কথা, যার জন্যে এই কাজ করতে হবে, সে কি পাঁচ হাজারের এক হাজারও আগাম দেবে না? ফ্যাল কড়ি, মাখ তেল! টাকাটা হাতে এলে তো বুঝি কিছু কাজ হ’ল। তখন এখান থেকে কেটে পড়লেই বা আমাদের ধরছে কে?
একটু গম্ভীর হইয়া সর্দ্দার উত্তর করিল, আরে বাবা, সে কি তেমন কাঁচা ছেলে! আমার সঙ্গে তার বন্দোবস্তটা কেমন হয়েছে শোন্। দলিলটা আমাদের হাতে এসেছে দেখাতে পারলে তবেই সে দেবে এক হাজার, তার হাতে সেটা দিলে আর দু হাজার, তা’ হলে মোট তিন হাজার হ’ল। তারপর মকদ্দমা হ’লে যদি তার জিত হয় তা হ’লে বাকি দু হাজার আমরা পাব। তবে উইলটা নষ্ট ক’রে দিলে জিত যে হবে তাতে সন্দেহ নেই।
—তা হ’লে উপায়? কি মতলব করছ শুনি?
—না রে না। তুই বেটা আগে থাকতে শুনলেই সব কাজ পণ্ড করবি। ধুর্ত্তু রাজমোহন তোর পেট থেকে কথা টেনে বের করবে,