পাতা:রাজমোহনের স্ত্রী.djvu/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> ○8 রাজমোহনের স্ত্রী উভয়ে উভয়ের প্রতিজ্ঞ পালন করিয়াছিল । মথুর প্রত্যহ একবার দেখিয়া আসিত তাতার ঔষপ ধরিতেছে কি না ! মাপব যখন মাতঙ্গিনীকে উদ্ধার করিল, তখন সে অনাহারে মৃতপ্রায় । ভোর হইবার পূৰ্ব্বেষ্ট মাধব চলিয় গেল, দুৰ্ব্বলতাবশত মাতঙ্গিনী তখনই ঘাইতে পারিল না ; মাধব ও তার পরামর্শ করিয়া স্থির করিল যে, সন্ধ্যা পর্য্যন্ত মাতঙ্গিনী তারার কাছেষ্ট থাকিবে, করুণা আসিয়া সন্ধ্যার পর তাহাকে লইয়। যাইবে । মাধবকে নিরাপদে বাড়ির বাঙ্গিরে পাঠাইয়। তার মাতঙ্গিনীর নিকট ফিরিয়া আসিয়া ঠাটা করিয়া বলিল, এবার তাহাকে বন্দী করিয়া রাখিবার পালা তাহার—এই বলিয়। সে সাবধান হইবার জন্ত দরজ বন্ধ করিয়া দিল । তার তারপর স্বামীর কক্ষে ফিরিয়। চাবির গোছ যথাস্থানে রাপিয়া শয্যায় শয়ন করিল, যেন রাত্রিকালে সে বাড়িতে একটি মূষিক ও নড়াচড়া করে নাই, এক্টরূপ ভাব । শয়ন করিয়৷ তারা কি নিদ্র। যাইতে পারিল ? না, সে স্বামীর গোপন কথাটি জানিয়াছে এবং তাহার উদার মনে সে জ্ঞান অসম্ভব তুঃথ বহন করিয়া আনিয়াছে । সেক্ট রজনীর দুখ্যপটে যাহার যাহার আবির্ভাব হইয়াছিল, এই বিশ্বস্তা এবং প্রেমময়ী পত্নীই তাহাদের মধ্যে যন্ত্রণ ভোগ করিল সৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক—স্বামীর গুপ্ত রহস্ত্যের জঘন্যতায় সে শিহরিয়া উঠিয়াছিল । মাতঙ্গিনী সমস্ত দিনট তাহার নির্জন কক্ষে নিরাপদে কাটাইল । সন্ধ্যার পরে করুণ। পূৰ্ব্ব বন্দোবস্তমত আসিয়া তাহাকে লইয়া গেল । বহুদিনের দুৰ্দ্দশা ও দুঃখ ভোগের পর মাতঙ্গিনী হেমাঙ্গিনীকে বুকে চাপিয়া ধরিল। মিলনের আনন্দ কতকটা প্রশমিত হইলে হেম বলিল, দিদি, তুমি বল, আর কখনও আমাকে ছেড়ে যাবে না ? মাতঙ্গিনী দীর্ঘশ্বাস ফেলিল, তাহার চোখ দুইটি জলে ভরিয়ু গল