পাতা:রাজমোহনের স্ত্রী.djvu/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ご ひ রাজমোহনের স্ত্রী ঘে তাঙ্গকে ভালবাসে । ছলচাতুরীষ্টীন সরল কনক ; শুধু তাহাকেই সে তাহার মনের গোপন স্মৃতির কথা নিবেদন করিয়াছে । এইটুকু ছাড়া মাতঙ্গিনীর জীবনের ইতিহাস, নিরবচ্ছিন্ন দুঃখ-যন্ত্রণ ভোগের ইতিহাস মাত্র । মাতঙ্গিনী এই কথা ভাবিতে ভাবিতেই স্টাদিতেছিল যে, এই নিদারুণ মন্ত্রণ হইতে তাহার অব্যাহতি নাই । গ্রীষ্মের গুমটি গরম ক্রমশঃ অসহ্য বোপ হইতে লাগিল, মাতঙ্গিনী শঘ্য ছাড়িয়া জানালাট খুলিয় দিবার জন্য উঠিল । কিন্তু জানাল খোলা হইল না—অতি মুদ্র ও সতর্ক পদক্ষেপ-শব্দ সহসা তাহার কর্ণগোচর হইল । ঘরের বাহিরের শব্দ হইলেও দূরের নহে, যে জানালার ধারে সে দাড়াইয়াছিল, ঠিক যেন তাহার পশ্চাতেই শব্দ হইতেছিল । মেটে ঘরের জানাল যেমন সাধারণত হয় এই জানালাটি সেই ধরনেরষ্ট ছিল—খুব ছোট, দৈর্ঘ্যে প্রস্তে তিন আর দুষ্ট ফুটের বেশি হইবে না, এবং ঘরের মেঝে হইতে ইহার উচ্চতাও তুষ্ট ফটের অধিক নহে । মাতঙ্গিনী থামিল, থামিয়া জানালার ফাটল দিয়া বাহিরে দেখিবার চেষ্টা করিল, কিন্তু অনতিদূরে একসারি গাছ এবং দূরে চন্দ্রালোকিত আকাশের পটভূমিতে অপর কতকগুলি গাছের আন্দোলিত শীর্ষদেশ ছাড় কিছুই দেখিতে পাইল না । পদশব্দ যেখান হইতে আসিতেছিল, সেখানে বা তাহার কাছাকাছিও কোনও পায়ে-চলার পথ ছিল না ; মাতঙ্গিনী ভীত হইল, পাষাণপুত্তলিকার মত দাড়াইয়া উৎকর্ণ হইয়া আবার সেই শবদ শুনিতে চেষ্টা করিল। পদধ্বনি তাহার অত্যন্ত নিকট পর্য্যন্ত আসিয়া থামিয়া গেল। মাতঙ্গিনী শুনিতে পাইল, কাহারা অতি মুতুম্বরে যেন কানে কানে কথা কহিতেছে ; কথোপকথন-নিরতদের মধ্যে একজনের কণ্ঠ তাহার স্বামীর কণ্ঠ বলিয়া চিনিতে পারাতে মাতঙ্গিনীর কৌতুহল ভয়ানক বাড়িয়া গেল ; ওই কণ্ঠ অপেক্ষাকৃত উচ্চস্বরে কথা বলিতেছিল । মাতঙ্গিনী ও ইহাদের মধ্যে