আগন্তুক বলিল, তোমার কত চাই, বল।
রাজমোহন জবাব দিল, আমাকে কি করতে হবে, তা জানতে পারলে আমার দাবির কথা বলতে পারি।
—ইতিপূর্ব্বে একবার যা করেছ তাই করতে হবে। তার অস্থাবর সম্পত্তি যা কিছু সরাতে হবে, এই কাজে তোমার সাহায্য দরকার। এবারে নগদ টাকা ছাড়া আর যা কিছু পাব সব তোমার জিম্মায় রেখে দেব; কিন্তু কাজটা আজ রাত্রেই করা চাই।
রাজমোহন বলিল, বুঝতে পারছি, কিন্তু আমার সাহায্য তোমাদের কতখানি দরকার সে খবর আমার কাছে লুকুলে তোমাদের বিশেষ সুবিধা হবে না। অমন ডাকসাইটে ধনীর ঘরে অমন ব্যাপার করার ফল কি দাঁড়াবে বুঝতেই পারছ—সম্পত্তির খোঁজে কি ভয়ঙ্কর খবরদারি আর খানাতল্লাসি যে চলবে! তোমরা চাইছ এমন একজন লোক যে ততদিন পর্য্যন্ত তোমাদের এই অপহৃত সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ করবে, যতদিন না তোমরা সম্পূর্ণ নিরাপদ হয়ে তার উপস্বত্ব ভোগ করতে পার—এমন লোক হওয়া চাই যে একেবারেই বিশ্বাসঘাতকতা করবে না। আমাকে পাকড়াও করেছ ঠিকই, কারণ তোমরা জান এ কাজ আমার মত আর কেউ করতে পারবে না, আমাকে কেউ সহজে সন্দেহ করবে না, তা ছাড়া ওসব জিনিস লুকিয়ে রাখবার মত জায়গাও আমার আছে। কিন্তু আমার ভয় হচ্ছে, আমার দাবি তোমাদের কাছে বেশি মনে হবে।
পাঠককে বলিয়া দিতে হইবে না যে, আগন্তুক একজন ডাকাত-সে বলিল, বুঝতেই যখন পারছ, একটু হিসেব করে বল।
রাজমোহন বলিল, আমি দরকষাকষি করতে চাই নে—তোমরা সম্পত্তি বিক্রি ক’রে যা পাবে, তার চার ভাগের এক ভাগ আমাকে দিতে হবে।
দস্যু রাজমোহনকে ভাল রকমই চিনিত, সে বুঝিল, রাজমোহন অবস্থা