পাতা:রাজমোহনের স্ত্রী.djvu/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ჯy8 রাজমোহনের স্ত্রী জবাব দিবি না হারামজাদী ?—রাজমোহন হঠাং যেন ক্ষেপিয়া উঠিল, দাতে দণত ঘষিতে ঘষিতে এই কথা বলিয়াই সে হঠাং আবার নিজেকে সামলাইয়া লইয়া বলিল, তুই আজ রাত্রে মাধব ঘোষের বাড়ি গিয়েছিলি কি না ? মাধবের নাম শুনিবামাত্র মাতঙ্গিনীর ভাবান্তর হইল, সে সহসা উত্তেজিত হইয়া বলিয়া ফেলিল, হ্যা, গিয়েছিলাম, তোমরা তার বাড়িতে ডাকাতি করবে মতলব করেছিলে, আমি তাকে বাচাতে গিয়েছিলাম । রাজমোহন দুই হাত মুষ্টিবদ্ধ করিয়া বিছানা ছাড়িয়া লাফাইয়া উঠিল। বজ্ৰকণ্ঠে হাকিল, দেখ মাগী, আমাকে ঠকাতে পারবি না তুই । তুই জানিস না তোকে আমি কি ভাবে পাহারা দি । যেদিন থেকে তোর রূপ হয়েছে তোর অভিশাপ, সেইদিন থেকে তোকে আমি চোখে চোখে রেখেছি। তুই ভাবিস না, তুই কি করিস না করিস আমি দেখি না। হঠাৎ কিছু শাস্ত হইয়া সে বলিতে লাগিল, হতে পারি আমি পশু, তবু আমার রূপবতী স্ত্রীর জন্যে আমার গৰ্ব্ব ছিল ; বাঘিনী যেমন ক’রে তার বাচ্চাকে আগলে বেড়ায়, আমিও তেমনই তোকে আগলে থাকতাম । আমি কি দেখি নি, তোর বয়স পাকবার আগেই ওই হতভাগার পীরিতে তুই মজেছিলি ? আমি কি জানি না, আস্তে আস্তে আজ ওটাই তোর পাপ হয়ে দাড়িয়েছে ! কি, বিশ্বাস হচ্ছে না ? আজকে বিকেলেই যখন ওই বেখামাগী, তোর ওই সাধের সইয়ের কুমতলবে ভুলে কাউকে কিছু না ব’লে ঘরের বাইরে গিয়েছিলি, তখনও আমি তোকে চোখে চোখে রেখেছিলাম—এটা জেনে রাখ! বল তুই যাস নি। বাগানের কাছে গিয়ে ইচ্ছে ক’রে মনে পাপ নিয়ে ঘোমটা খুলিস নি ? নাগরের সঙ্গে শুভদৃষ্টি হবে, চোখ জলে যাবে না তোর ? পিছু নিয়ে চলতে চলতে একবার তোকে হারিয়ে ফেললাম—হায় হায়, একটু হুশিয়ার থাকলেই হ’ত ! বাড়ি ফিরে খালি ঘর দেখে আমার কি বুঝতে দেরি হয়েছিল,