পাতা:রাজযোগ.djvu/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ ভিতরে প্রবেশ কবে, তখন সে আপনাকেই বড় বলিয়া বোধ করে। এই আমাদের মনের অবস্থা ! সুতরাং ইহাকে সংযম করা কি কঠিন ! অতএব মনসংষমের প্রথম সোপান এই যে, কিছুক্ষণেব জন্ত চুপ কবিয়া বসিয়া থাক ও মনকে নিজের ভাবে চলিতে দাও। মন সদা চঞ্চল। উহা বানরের মত সৰ্ব্বদা লাফাইতেছে। মনবানর যত ইচ্ছা লম্ফ-ঝম্প করুক, ক্ষতি নাই, ধীরভাবে অপেক্ষা কর ও মনেব গতি লক্ষ্য করিয়া যাও । কথায় বলে, জ্ঞানই প্রকৃত পুঁক্তি, ইহা অতি সত্য কথা। যতক্ষণ না মনের ক্রিয়াগুলি লক্ষ্য করিতে পরিবে, ততক্ষণ উহাকে সংযম করিতে পারিবে না। উহাকে যথেচ্ছ বিচরণ করিতে দাও । খুব ভযানক ভয়ানক বীভৎস চিন্তা হয়ত তোমার মনে আসিবে— তোমার মনে এতদূর অসৎ চিন্তা আসিতে পাবে, ইহা ভাবিয়া তুমি আশ্চধ্য হইয়া যাইবে । কিন্তু দেখিবে, মনেব এই সকল ক্রীড়া প্রতিদিনই কিছু কিছু কমিয়া আসিতেছে, প্রতিদিনই মন ক্রমশঃ স্থিল হইয়া আসিতেছে। প্রথম কয়েক মাস দেখিবে, তোমার মনে সহস্ৰ সহস্ৰ চিন্তা আসিবে, ক্রমশঃ হয়ত উহা কমিয়া গিয়া শতশত চিন্তায় পরিণত হইবে। আরও কয়েকমাস পরে উহ আরও কমিয়া আসিয়া অবশেষে মন সম্পূর্ণরূপ আমাদের বশে আসিবে, কিন্তু প্রতিদিনই আমাদিগকে ধৈৰ্য্যের সহিত অভ্যাস করিতে হইবে। ষতক্ষণ এঞ্জিনের ভিতর বাষ্প থাকিবে তভক্ষণ উকা চলিবেই চলিবে ; যতদিন বিষয় আমাদের সম্মুখে থাকিবে, ততদিন আমাদিগকে বিষয় দেখিতে হইবেই Եե