পাতা:রাজযোগ.djvu/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধ্যান ও সমাধি উহা অজ্ঞাতসারে করিয়া থাকি । যখন উহ। রক্ত-রূপে পরিণত হয়, তখনও উহা. আমার অজ্ঞাতসারেই হইয়া থাকে। আবার যখন ঐ রক্ত হইতে শরীরের ভিন্ন ভিন্ন অংশ গঠিত হয়, তখনও উঙ্গ আমার অজ্ঞাতসাবেই হইয় থাকে। কিন্তু এই সমুদয় ব্যাপারগুলি আমার দ্বারাই সংশোধিত হইতেছে। এই শরীরের মধ্যে ত আর বিশটি লোক বসিয়া নাই, যে ঐ কাৰ্য্যগুলি করিতেছে। কিন্তু কি করিয়া জানিলাম যে, আমিই ঐ গুলি করিতেছি, অপর কেহ করিতেছে না ? এ বিষয়ে ত অনায়াসেই আপত্তি হইতে পারে যে, আহার করার সঙ্গেই আমার সম্পর্ক ; খাদ্য পরিপাক করা ও তাঁহা হইতে শরীর গঠন করা আমার জন্য আর একজন করিয়া দিতেছে। একথা কথাই নহে ; কারণ ইহা প্রমাণিত হইতে পাবে যে, এখন যে সকল কাৰ্য্য আমাদের অজ্ঞাতসারে হইতেছে, তাহার প্রায় সকলগুলিই আবার সাধনবলে আমাদের জ্ঞাতসারে সাধিত হইতে পারে । আমাদের হৃদয়যন্ত্রের কার্য্য আপন আপনিই চলিতেছে বলিয়া বোধ হয়, আমরা কেহই উহাকে ইচ্ছামত চালাইতে পারি না, উহা নিজের খেয়ালে নিজে চলিতেছে । কিন্তু এ হৃদয়ের কার্য্য ও অভ্যাসবলে এমন ইচ্ছাধীন করা যাইতে পারে যে, ইচ্ছামাত্রে উহা শীঘ্র বা ধীরে চলিবে, অথবা প্রায় বন্ধ হইয়া যাইবে । আমাদের শরীরের প্রায় সমুদয় অংশই আমাদের বশে আনা যাইতে পারে। ইহাতে কি বুঝা যাইতেছুে বুঝা যাইতেছে যে, এক্ষণে যে সকল কার্ধ্য আমাদের অজ্ঞাতসারে হইতেছে, তাহাও আমরা করিতেছি । তবে অজ্ঞাতসারে করিতেছি, এইমাত্র। অতএব ቖፃ