পাতা:রাজযোগ.djvu/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ দেখা গেল, মনুষ্যমন দুই অবস্থায় থাকিয়া কাৰ্য্য করিতে পারে । প্রথম অবস্থাকে জ্ঞানভূমি বলা যাইতে পারে। যে সকল কাৰ্য্য করিবার সমরে সঙ্গে সঙ্গে আমি করিতেছি, এই জ্ঞান সদাই বিদ্যমান থাকে, সেই সকল কার্ষ্য জ্ঞানভূমি হইতে সাধিত হয়, বলা যায়। আর একটি ভূমির নাম, অজ্ঞানভূমি বলা যাইতে পারে। যে সকল কাৰ্য্য জ্ঞানের নিম্নভূমি হইতে সাধিত হয়, যাহাতে "আমি" জ্ঞান থাকে না, তাহাকে অজ্ঞানভূমি বলা যাইতে পারে । আমাদের কার্য্য-কলাপের মধ্যে যাহাঁতে “অহং’ মিশ্রিত আছে, তাহাকে জ্ঞান-পূর্বক ক্রিয়া, আর যাহাতে অহং এর ংস্রব নাই তাহাকে অজ্ঞানপূর্বক ক্রিয়া বলা যায়। নিম্নজাতীয় জস্ততে এই অজ্ঞানপূর্বক কাৰ্য্যগুলিকে সহজাতজ্ঞান ( instinct) বলে। তদপেক্ষা উচ্চতর জীবে ও সৰ্ব্বাপেক্ষা উচ্চতম জীব ময়ূন্যে এই দ্বিতীয় প্রকার কার্য্য অর্থাৎ যাহাতে “অহংএর ভাব থাকে, তাহাই অধিক দেখা যায়—উহাকেই জ্ঞানপূৰ্ব্বক ক্রিয়া বলে । কিন্তু এই দুইটি বলিলেই যে সকল ভূমির কথা বলা হইল, তাহা নহে। মন এই দুইটি হইতেও উচ্চতর ভূমিতে বিচরণ করিতে পারে। মন জ্ঞানের অতীত অবস্থায় যাইতে পারে। যেমন অজ্ঞানভূমি হইতে ষে কাৰ্য্য হয়, তাহা জ্ঞানের নিম্নভূমির কাৰ্য্য, তদ্রুপ জ্ঞানাতীত ভূমি হইতৃেও কাৰ্য্য হইয়া থাকে। উহাতে কোনরূপ “অহং’ এর কার্ধ্য হয় না। এই অহংজ্ঞানের কাৰ্য কেবল মধ্য অবস্থার इहेब थां८क । वथन म