পাতা:রাজযোগ.djvu/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ এক অবস্থা হইতে ফিরিয়া মানুষ জ্ঞানালোক প্রাপ্ত হইল—এক মহা সাধু, সিদ্ধপুরুষরূপে পরিণত হইল—তাহার স্বভাব একেবারে সম্পূর্ণ পরিবৰ্ত্তিত হইয়া গেল—তাহার জীবন একেবারে অন্ত আকার ধারণ করিল। এই ত দুই অবস্থার বিভিন্ন ফল। এক্ষণে কথা হইতেছে, ফল ভিন্ন ভিন্ন হইলে কারণও অবহু ভিন্ন ভিন্ন হইবে। আর সমাধি অবস্থা হইতে লব্ধ এই জ্ঞানালোকে যখন অজ্ঞান-অবস্থা হইতে ফিরিবার পরের অবস্থা বা সাধারণ জ্ঞানবস্থায় যুক্তি বিচারলব্ধ জ্ঞান হইতে অনেক উচ্চতর জ্ঞান, তখন উহ্য অবগুই জ্ঞানাতীত ভূমি হইতে আসিতেছে। সমাধিকে সেইজন্তই জ্ঞানাতীত ভূমি নামে অভিহিত করিয়াছি। সমাধি বলিলে সংক্ষেপে ইহাই বুঝায়। আমাদের জীবনে এই সমাধির কার্য্যকারিতা কোথায় ? সমাধির বিশেষ কাৰ্য্যকারিতা আছে। আমরা জ্ঞাতসারে যে সকল কৰ্ম্ম করিয়া থাকি যাহাকে বিচারের অধিকারভূমি বলা যায়, তাহা অতিশয় সীমাবদ্ধ। মানব-যুক্তি একটি ক্ষুদ্র বৃত্তের মধ্যেই কেবল ভ্রমণ করিতে পারে। উহা তাহার বাহিরে আর যাইতে পারে না । আমরা যতই উস্কার বাহিরে যাইতে চেষ্টা করি, ততই ঐ চেষ্টা যেন অসম্ভব বলিয়া ৰোধ হয়। তাহা হইলেও মনুষ্ক যাহা অতিশয় মূল্যবান বলিয়া আদর করে, তাহা ঐ যুক্তিরাজ্যের বাহিরেই অবস্থিত। অবিনাশী আত্মা আছে কি-না, ঈশ্বর আছেন কি-না, এই সমুদয় জগতের নিয়ন্তা-পরমজ্ঞান-স্বরূপ কেহ আছেন কি-না—এ সকল তত্ত্ব নির্ণয় করিতে যুক্তি অপারগ। যুক্তি এই সকল প্রশ্নের উত্তর দানে অসমর্থ। যুক্তি কি বলে? 2 е в