পাতা:রাজযোগ.djvu/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ অনেকেই এই সত্য ঠিক কোথা হইতে পাইলেন, তদ্বিষয়ে অনভিজ্ঞ ছিলেন। কেহ হয় তবলিলেন, “এক স্বৰ্গীয় দূত পক্ষযুক্ত মমুম্বাকারে আমার নিকট আসিয়া আমাকে বলিলেন, "ওহে মানব, শুন, আমি স্বর্গ হইতে এই সুসমাচার আনয়ন করিয়াছি, গ্রহণ কর’।” আর একজন বলিলেন, “তেজঃ-পুঞ্জকায় এক দেবতা আমার সম্মুখে আবিভূত হইয়া আমাকে উপদেশ দিলেন।” আর একজন বলিলেন, “আমি স্বপ্নে আমার পিতৃপুরুষগণকে দেখিতে পাইলাম, তাহারা আমাকে এই সকল তত্ত্ব উপদেশ দিলেন।” ইহার অতিরিক্ত তিনি আর কিছুই বলিতে পারেন না। এইরূপে বিভিন্ন উপায়ে তত্ত্ব লাভের কথা বলিলেও ইহারা সকলেই এই বিষয়ে একমত যে, যুক্তিতর্কের দ্বারা র্তাহারা এই জ্ঞানালাভ করেন নাই, উহার , অতীত-প্রদেশ হইতে তাহারা উহা লাভ করিয়াছেন। এ বিষয়ে যোগশাস্ত্রের মত কি ? ইহার মতে— তাহারা যে বলেন, যুক্তিবিচারেল অতীতপ্রদেশ হইতে র্তাহারা ঐ জ্ঞানলাভ কবিয়াছেন, ইহা ঠিক কথা, কিন্তু তাহদের নিজের ভিতর হইতেই ঐ জ্ঞান উহাদের নিকট আসিয়াছে । যোগীরা বলেন, এই মনেরই এমন এক উচ্চাবস্থা আছে, যাহা বিচার-যুক্তির অধিকারের অতীত বা জ্ঞানাতীতভূমি। ঐ উচ্চাবস্থায় পন্থছিলেই মানব তর্কের অগম্য জ্ঞান লাভ করে। সেই ব্যক্তিরই সমুদয় বিষয়ঙ্গানের অতীত পরমার্থজ্ঞান বা অতীক্রিয়জ্ঞান লাভ হয়। এইরূপ পরমার্থজ্ঞান–বিচারের অতীত জ্ঞান-ষে জ্ঞানে তর্কযুক্তি চলে না,-ধাহাতে লোকে, সাধারণ } • 8