পাতা:রাজযোগ.djvu/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধ্যান ও সমাধি মানুষ ভগবানকে অনন্ত বলে, আবার এক ক্ষুদ্র গ্রন্থের ভিতর র্তাহাকে আবদ্ধ করিতে চায়! কি আম্পৰ্দ্ধা ! পুথিতে বিশ্বাস করে নাই বলিয়, ‘একখানি গ্রন্থেব ভিতরে সমুদয় ঈশ্বরীয় জ্ঞান আবদ্ধ,—ইহা বিশ্বাস করিতে প্রস্তুত হয় নাই বলিয়া লক্ষলক্ষ লোক হত হইয়াছে। অবশু সে হত্যাদির যুগ আর এখন নাই, কিন্তু জগৎ এখনও এই গ্রন্থবিশ্বাসে ভয়ানক জড়িত । ঠিক বৈজ্ঞানিক উপায়ে জ্ঞানাতীত অবস্থা লাভ করিতে হইলে আমি তোমাদিগকে রাজযোগ বিষয়ে যে সকল উপদেশ দিতেছি, তাহার প্রত্যেক সাধনটির ভিতর দিয়া .যাইতে হইবে। পূৰ্ব্ব বক্তৃতায় প্রত্যাহাব ও ধারণা সম্বন্ধে বগা হইয়াছে, এক্ষণে ধ্যানের বিষয় আলোচনা করিব । দেহের অম্বুবর্তী অথবা বাহিরের কোন প্রদেশে মনকে কিছুক্ষণ স্থির রাখিবার চেষ্টা পুনঃ পুনঃ করিতে থাকিলে উহার ঐ দিকে অবিচ্ছেদ গতিতে প্রবাহিত হইবার শক্তি লাভ হইবে। এই অবস্থার নাম ধ্যান। যখন ধ্যানশক্তি এতদুব উৎকর্ষ প্রাপ্ত হয় যে, অমুভূতির বহির্ভাগটি পরিত্যক্ত হইয়া কেবল উহার অন্তর্ভাগটির অর্থাৎ অর্থের দিকেই মন সম্পূর্ণরূপে গমন কবে, তখন সেই অবস্থার নাম সমাধি। (ধারণা, ধ্যান ও সমাধি এই তিনটিকে একত্রে লইলে, তাহাকে সংযম বলে অর্থাৎ (১) যদি কেহ কোন বস্তুর উপর মনকে একাগ্র কবিতে পারে, (২) পবে দীর্ঘকাল ধরিয়া ঐ বস্তুর উপব একাগ্রতাপ্রবাহ চালুইতে পারে, (৩) অবশেষে এইরূপ ক্রমাগত একাগ্রতা দ্বারা, যে আভ্যন্তরীণ কারণ হইতে ঐ বাহ বস্তুর অনুভূতি উৎপন্ন হইয়াছে, কেবল তাহার উপর মনকে ধরিয়া > exo