পাতা:রাজযোগ.djvu/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধ্যান ও সমাধি এখন এমনভাবে মিশ্রিত হইয়া পড়িয়াছে যে, উহাদের প্রভেদ আর বুঝা যায় না। আমরা বাস্তবিক এক্ষণে ঐ তিনটির কোনটিকেই অনুভব করিতে পারি না, কেবল উহাদের সম্মিলনের ফলস্বরূপ বাহ বস্তুমাত্র অনুভব করি। প্রত্যেক অনুভবক্রিয়াতেই এই তিনটি ব্যাপার রহিয়াছে, আমরা উহাদিগকে পৃথক্ করিতে পারিব না কেন ? প্রথমোক্ত যোগাঙ্গগুলির অভ্যাসের দ্বারা যখন মন দৃঢ় ও সংযত হয় ও স্বক্ষতর অমুভবের শক্তি লাভ করে, তখন উহাকে ধ্যানে নিযুক্ত করা কৰ্ত্তব্য। প্রথমতঃ স্থল বস্তু, লইয়া ধ্যান করা আবশ্যক। পরে ক্রমশঃ স্বল্পাৎ সূক্ষ্মতর ধ্যানে অধিকার হইবে, পরিশেষে আমরা বিষয়শূন্ত অর্থাৎ নিৰ্ব্বিকল্প ধ্যানে কৃতকাৰ্য্য হইব । মনকে প্রথমে অনুভূতির বাহকাবণ অর্থাৎ বিষয়, পরে স্বায়ুমণ্ডলমধ্যস্থ গতি, তৎপবে নিজের প্রতিক্রিয়াগুলিকে অনুভব করিবার জন্য নিযুক্ত করিতে হইবে। যখন কেবল অনুভূতির বাহ উপকরণ, অর্থাৎ বিষয়সমূহকে পৃথকভাবে পরিজ্ঞাত হওয়া যাইবে, তখন সমুদয় স্বক্ষ-ভৌতিক পদার্থ, সমুদয় স্বল্প-শরীর ও স্বক্ষ-রূপ জানিবার ক্ষমতা হইবে । যখন আভ্যন্তরীণ গতিগুলিকে অন্ত সমুদয় বিষয় হইতে পৃথক্ করিয়া জানা যাইবে, তখন মানসিক বৃত্তিপ্রবাহগুলিকে—আপনার মধ্যেই হউক বা অপরের মধ্যেই হউক—জানিতে পার! যাইবে ; এমন কি উহার ভৌতিক শক্তিরূপে পুরিণত হইবার পূর্বে উহাদিগকে পরিজ্ঞাত হওয়া যাইবে এবং যখন কেবল মানসিক প্রতিক্রিয়াগুলিকে জানিতে পারা যাইবে, তখন যোগী সৰ্ব্ব পদার্থের জ্ঞান লাভ > S >