পাতা:রাজযোগ.djvu/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংক্ষেপে রাজযোগ উহাদের মধ্যে যম বলিতে অহিংসা, সত্য, অস্তেয়, ব্রহ্মচৰ্য্য ও অপরিগ্রহকে বুঝায় । এই যম দ্বারা চিত্ত শুদ্ধি লাভ হয়। কায়, মন ও বাক্য দ্বারা সদাসৰ্ব্বদা সৰ্ব্বপ্রাণীর হিংসা না করা বা ক্লেশোৎপাদন না করাকে অহিংসা বলে । অহিংসা অপেক্ষ শ্রেষ্ঠতর ধৰ্ম্ম আর নাই। জীবের প্রতি এই অহিংসাভাব অবলম্বন করা অপেক্ষা মানুষেব উচ্চতর মুখ আর নাই। সত্য হইতে সমুদয় লাভ হয়, সত্যে সমুদয় প্রতিষ্ঠিত । যথার্থ কথনকেই সত্য বলে । চৌর্য্য বা বলপূর্বক অপরের বস্তু গ্রহণ না কবার নাম অস্তেয় । কায়মনোবাক্যে সৰ্ব্বদা সকল অবস্থায় মৈথুনরাহিত্যেব নামই ব্রহ্মচৰ্য্য। অতি কষ্টের সময়ও কোন ব্যক্তির নিকট হইতে কোন উপহার গ্রহণ না কবাকে অপবিগ্রন্থ বলে। অপরিগ্রহ সাধনের উদ্দেত এই,-কাহারও নিকট কিছু লইলে হৃদয় অপবিত্র হইয়া যায়, গ্রহীতা চীন হইয়া যান, তিনি নিজের স্বাধীনতা বিস্মৃত হন এবং বদ্ধ ও আসক্ত হইয়া পড়েন। তপঃ, স্বাধ্যায়, সন্তোষ, শৌচ ও ঈশ্বর-প্রণিধান—এই কয়েকটিকে নিয়ম বলে। নিয়ম শব্দের অর্থ নিয়মিত অভ্যাস ও ব্রত পরিপালন । উপবাস বা অন্তবিধ উপায়ে দেহ সংযমকে শারীরিক তপস্তা বলে। বেদপাঠ অথবা অন্ত কোন মন্ত্র উচ্চারণকে সত্ত্বশুদ্ধিকর স্বাধ্যায় বলে । মন্ত্র-জপ করিবার তিন প্রকার নিয়ম আছে, বাচিক, উপাংশু ও মানস। বাচিক অপেক্ষ উপাংশু জপ শ্রেষ্ঠ এবং তাহা হইতে • মানস জপ শ্রেষ্ঠ। যে জপ, এত উচ্চস্বরে করা হয় যে, সকলেই শুনিতে পায়, তাহাকে বাচিক বলে। যে জপে কেবল ওষ্ঠে স্পন্ন মাত্র হয়, কিন্তু নিকটবর্তী *>6.