পাতা:রাজযোগ.djvu/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ এই হেতু তাহারা বিবেচনা করেন, ইহজীবনেই কেবল সুখভোগ সম্ভব, সুতরাং ইহজীবনের মুথেই আমাদের আসক্ত হওয় উচিত। প্রথমতঃ দেখা যাউক, এই জীবন-সমস্তার আব কি কি মীমাংসা আছে, সেই গুলির বিষয় আলোচনা কব যাউক । এ সম্বন্ধে অতি প্রাচীন সিদ্ধান্ত এই যে, মৃত্যুর পর মামুষ যাহা তাঁহাই থাকে, তবে তাহাব সমুদয় অশুভ চলিয়া যায়, তৎপরিবর্তে, কেবল যাহা কিছু ভাল, তাহাই অনন্তকালের জন্য থাকিয় যায়। প্রণালীবদ্ধ নৈয়ায়িক ভাষায় এই সত্যটি স্থাপন করিলে, উহা এইরূপ দাড়ায় যে, মানুষেল চরমগতি এই জগৎ—এই জগতেরই কিছু উচ্চাবস্থা—আব উহার সমুদয় অসৎভাগ বাদ দিলে যাহা অবশিষ্ট থাকে, তাহাকেই স্বর্গ বলে। ইহাই পুৰ্ব্বোক্ত মতাবলম্বীদিগের চরম লক্ষ্য । এই মতটি যে অতি অসম্ভব ও অকিঞ্চিৎকল, তাহা অতি সহজেই বুঝা যায় ; কারণ, তাহা হইতেই পারে না । ভাল নাই অথচ মন আছে বা মন্দ নাই, ভাল আছে, এরূপ হইতেই পারে না। কিছু মন্দ নাই, সব ভাল, এরূপ জগতে বাসের কল্পনাকে ভারতীয় নৈয়ায়িকগণ আকাশকুসুম বলিয়া বর্ণনা করেন। তাহার পর আর একটি মত বর্তমান অনেক সম্প্রদায়ের নিকট হইতে শুনা যায় ; তাহা এই যে, মানুষ ক্রমাগত উন্নতি করিবে, চরম লক্ষ্যে পহুছিবার চেষ্টা করিবে, কিন্তু কখন তথায় পন্থছিতে পরিবে না। . এই মতও আপাততঃ শুনিতে অতি যুক্তিসঙ্গত বলিয়া বোধ হইলেও বাস্তবিক অতিশয় অসাৰু, কারণ, সরল রেখার কোন গতি হইতে পারে না। * २६