পাতা:রাজযোগ.djvu/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ র্যাহারা এইরূপ ভাবেন, তাহারা মনে করেন, জগতে যত অস্তিত্ব আছে, তাছা দুই ভাগে বিভক্ত—এক প্রকার প্রস্তরাদির স্থায় জড় ও অপর প্রকার চিস্তাবিশিষ্ট । কিন্তু তাহাদিগকে জিজ্ঞাসা করি, তাহারা যে সমুদয় অস্তিত্বকে এই দুই অংশে বিভক্ত করিয়াই সন্তুষ্ট থাকেন, ইহাতে র্তাহাদের কি অধিকার আছে ? চিন্তা হইতে অনন্ত গুণে উচ্চাবস্থা কি নাই ? আলোকের কম্পন অতি মৃদ্ধ হইলে তাহা আমাদেব দৃষ্টিগোচরে আইসে না, যখন ঐ কম্পন অপেক্ষাকৃত তীব্র হয় তখনই আমাদের দৃষ্টিগোচরে আইসে—তখনই আমাদের চক্ষে উহ আলোকরূপে প্রতিভাত হয়। আবার যখন উহা তীব্রতম হয়, তখনও আমরা উহ। দেখিতে পাই না, উহা আমাদের চক্ষে অন্ধকারবৎ প্রতীয়মান হয়। এই শেষোক্ত অন্ধকারটি ঐ প্রথমোক্ত অন্ধকারের সহিত কি সম্পূর্ণ এক ? উহাদের মধ্যে কি কোন পার্থক্য নাই ? কখনই नप्श्। উহারা মেরুদ্বয়ের স্তায় পরস্পর বিভিন্ন। প্রস্তরেব চিন্তাশূন্তত ও ভগবানের চিন্তাশূন্তত উভয়ই কি এক পদার্থ ? কখনই নহে। ভগবান চিন্তা করেন না—বিচার করেন না। তিনি কেন করিবেন ? তাহার নিকট কিছু কি অজ্ঞাত আছে যে, তিনি বিচার করিবেন ? প্রস্তর বিচার করিতে পারে না, ঈশ্বর বিচার করেন না—এই পার্থক্য। পূৰ্ব্বোক্ত দার্শনিকের বিবেচনা করেন যে, চিন্তার রাজ্যেব বাহিরে যাওয়া অতি ভয়াবহ ব্যাপার, তাহারা চিন্তার অতীত কিছু খুজিয়ী পান না । f >\Oe