পাতা:রাজযোগ.djvu/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপক্রমণিকা যুক্তির রাজ্য ছাড়াইয়া গিয়া তদপেক্ষাও অনেক উচ্চতর অবস্থা রহিয়াছে। বাস্তবিক, বুদ্ধির অতীত প্রদেশেই আমাদিগের প্রথম ধৰ্ম্মজীবন আরম্ভ হয়। যখন তুমি চিন্তা, বুদ্ধি, যুক্তি-সমুদয় ছাড়াইরা চলিয়া যাও, তখনই তুমি ভগবৎপ্রাপ্তির পথে প্রথম পদক্ষেপ করিলে । ইহাই জীবনের প্রকৃত প্ৰাৰম্ভ । যাহাকে সাধারণতঃ জীবন বলে, তাহা প্রকৃত জীবনেল ক্রণ অবস্থা মাত্র । - এক্ষণে প্রশ্ন হইতে পারে ঘে, চিন্তা ও বিচারের অতীত অবস্থাটি যে সৰ্ব্বোচ্চ অবস্থা, তাহার প্রমাণ কি ? প্রথমতঃ, জগতের যত শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি—কেবল যাহাব বার্ক্য-ব্যয় করিয়া থাকে, তাহাদের অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর ব্যক্তিগণ—নিজ শক্তিবলে যাহারা সমূদয় জগৎকে পরিচালিত করিয়াছিলেন, র্যাহাদের হৃদয়ে স্বার্থের লেশমাত্রও ছিল না, তাহারা জগতের সমক্ষে ঘোষণা করিয়া গিয়াছেন যে আমাদের জীবন সেই লৰ্ব্বাতীত অনন্তস্বরূপে পহুছিবার পথের একটি বিশ্রামস্থান-মাত্র। দ্বিতীয়তঃ, তাঙ্গর কেবল এইরূপ বলেন, তাহা নহে, কিন্তু তাহারা সকলেই তখার যাইবার পথ দেখাইয়া দেন, তাহাদের সাধন-প্রণালী ఢళో বুঝাইয়া দেন, যাহাতে সকলেই তাহাদের পদামুসরণ করিয়া চলিতে পাবেন। তৃতীয়তঃ, পূৰ্ব্বে যে ব্যাখ্যা প্রদত্ত হইল, তাহা ব্যতীত জীবন-সমস্তার আর কোন প্রকার সন্তোষকর ব্যাখ্যা দেওয়া যায় না। लेि तिौश्ांश्च করা যায় যে, ইহা অপেক্ষা উচ্চতর অবস্থা আর নাই, তবে জিজ্ঞাস্ত এই যে, আমরা চিরকাল এই চক্রের ভিতর দিয়া কেন