পাতা:রাজযোগ.djvu/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ যাইতেছি? কি যুক্তিতে এই দৃপ্তমান সমুদয় ব্যাপারাত্মক জগতের ব্যাখ্যা করা যায় ? যদি আমাদের ইহা অপেক্ষ অধিক দুর যাইবার শক্তি না থাকে, যদি আমাদের ইহা অপেক্ষ অধিক কিছু প্রার্থনা কবিবার না থাকে, তাহা হইলে এই পঞ্চেন্দ্রিয়গ্রাহ জগৎই আমাদের জ্ঞানের চরম সীমা রহিয়া যাইবে । ইহাকেই অজ্ঞেয়বাদ বলে। কিন্তু প্রশ্ন এই, আমবা ইঞ্জিয়ের সমুদয় সাক্ষ্যে যে বিশ্বাস করিব, তাহারই বা যুক্তি কি ? আমি তাহাকেই প্রকৃত অজ্ঞেয়বাদী বলিব, যিনি পথে চুপ করিয়া দাড়াইয়া থাকিয়া মরিতে পারেন। যদি যুক্তিই আমাদের সৰ্ব্বস্ব হয়, তবে তাহাতে আমাদিগকে এই শূন্তবাদ অবলম্বন করিয়া জগতে স্থির হইয়া কোথাও তিষ্ঠিতে দিবে না। কেবল অর্থ, যশ, নামের আকাঙ্ক্ষা এই গুলি বাতীত অপর সমুদয় বিষয়ে নাস্তিক হইলে—সে কেবল জুয়াচোর মাত্র। ক্যান্ট (Kant) নিঃসংশয়িতভাবে প্রমাণ করিয়াছেন যে আমরা যুক্তিরূপ দুর্ভেন্ত প্রাচীর অতিক্রম করিয়া তাহার অতীত প্রদেশে যাইতে পারি না। কিন্তু ভাবতবর্ষে যত তত্ত্ব আবিষ্কৃত হইয়াছে তাহার সকল গুলিরই প্রথম কথা, যুক্তির পরপারে গমন করা। যোগীরা অতি সাহসের সহিত এই রাজ্যের অন্বেষণে প্রবৃত্ত হন ও অবশেষে এমন এক বস্তু লাভ করিয়া কৃতকাৰ্য্য হন, যাহা যুক্তির উপরে এবং যেখানেই কেবল আমাদের বর্তমান পরিদৃশুমান অবস্থার কারণ পাওয়া যায়। যাহাতে আমাদিগকে জগতের বাহিরে লইয়া যায়, তাহার বিষয় শিক্ষা করিবার এই ফল । “তুমি আমাদের পিতা, তুমি I - Swరి:R