পাতা:রাজযোগ.djvu/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগসূত্র উপলব্ধি করেন। তিনিই সৰ্ব্বজ্ঞ পুরুষ । এইরূপ ব্যক্তিগণই শাস্ত্রের বচয়িত, আর এই জগুই শাস্ত্র প্রমাণ বলিয়া গ্রাহ ৮ যদি বর্তমান সময়ে এরূপ লোক কেহ থাকেন, তবে তাহার কথা অবশ্য প্রমাণরূপে গণ্য হইবে । অন্যাঙ্ক দার্শনিকের এই আপ্তসম্বন্ধে অনেক বিচার করিয়াছেন । র্তাহারা প্রশ্ন উত্থাপন করিয়াছেন, আগুবাক্য সত্য কেন ? তাহারা ইহার এই উত্তর দেন, ‘আগুবাক্যের প্রমাণ এই যে, উহা তাহাঙ্গের প্রত্যক্ষ অনুভূতি। যেমন পূৰ্ব্বজ্ঞানেব বিবোধী না হইলে, তুমি যাহা দেথ, আমি যাহা দেখি, তাহা প্রমাণ ব্ললিয়া গ্রাহ হয়, উহারও প্রামাণ্য সেইরূপ বুঝিতে হইবে । 'ইঞ্জিয়ের অতীত জ্ঞান লাভ করা সম্ভব ; যখনই ঐ জ্ঞান, যুক্তি ও মমুয্যের পূর্ব সত্য অনুভূতিকে খণ্ডন না করে, তখন সেই জ্ঞানকে প্রমাণ বলা যায়। একজন উন্মত্ত ব্যক্তি আসিয়া বলিতে পাবে, আমি চারিদিকে দেবতা দেখিতে পাইতেছি । উহাকে প্রমাণ বলা যাইবে না। প্রথমতঃ, উহা সত্যজ্ঞান হওয়া চাই । দ্বিতীয়তঃ, উহা যেন আমাদের পূৰ্ব্বজ্ঞানের বিরোধী না হয় । তৃতীয়তঃ, সেই ব্যক্তির চরিত্রের উপব উহা নির্ভর করে । অনেককে এরূপ বলিতে শুনিয়াছি যে, এরূপ ব্যক্তির চরিত্র কিরূপ, দেখিবার তত আবশুক নাই, সে কি বলে, সেইটিই জান বিশেষরূপে আবশুক — সে কি বলে, ইহাই প্রথম শুনা আবশুক। অন্যান্ত বিষয়ে এ কথা সত্য হইতে পারে ; কোন লোক দুষ্টপ্রকৃতি হইলেও সে জ্যোতিষ সম্বন্ধে কিছু আবিষ্কার করিতে পারে, কিন্তু ধৰ্ম্মবিষয়ে স্বতন্ত্র কথা, কারণ, > 83)