পাতা:রাজযোগ.djvu/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগসূত্র যে, উহ, অন্তান্ত সত্যের বিরোধী না হয় ; যদি উহ। অক্ষান্ত বৈজ্ঞানিক সত্যের বিরোধী হয়, তবে উস্থা তৎক্ষণাৎ পরিত্যাগ কর । চতুর্থত:, সেই ব্যক্তিই যে কেবল ঐ বিষয়ের অধিকারী, আর কেহ নয়, তাছা হইবে না । অপরের পক্ষে যাহা লাভ করা সম্ভব, তিনি কেবল নিজের জীবনে তাহাই কার্য্যে পরিণত করিয়া দেখাইবেন । তাহা হইলে প্রমাণ তিন প্রকার হইল ; প্রত্যক্ষ-ইঞ্জিয়-বিষয়ানুভূতি, অম্নমান ও আপ্তবাক্য । এই আপ্ত কথাটি ইংরাজীতে অনুবাদ করিতে পারিতেছি না। ইহাকে অনুপ্রাণিত inspired ঘূশিবের দ্বারা প্রকাশ করা না, কাবণ, এই অনুপ্রাণন বাহির হইতে আইসে, আর এক্ষণে যে ভাবের কথা হইতেছে, তাহ ভিতর হইতে আইসে। ইহার আক্ষরিক অর্থ-“যিনি পাইয়াছেন” । বিপর্য্যয়ে মিথ্যাজ্ঞানমতন্দ্র পপ্রতিষ্ঠমৃ ॥৮ ॥ সূত্রার্থ।—বিপৰ্য্যয় অর্থে মিথ্যা-জ্ঞান, যাহা সেই বস্তুর প্রকৃত-স্বরূপে প্রতিষ্ঠিত নহে । ( ইহা তিন প্রকার—সংশয়, বিপৰ্য্যয় ও তর্ক । ) ব্যাখ্য' । আর এক প্রকার বৃত্তি এই যে, এক বস্তুতে অস্ত বস্তুর ভ্রাস্তি । ইহাকে বিপৰ্য্যয় বলে, যথা, শুক্তিতে রঞ্জত-ভ্ৰম । শব্দ-জ্ঞানানুপাতী বস্তুশূন্তো বিকল্পঃ ॥৯ সূত্রার্থ –কেবলমাত্র শব্দ হইতে যে একপ্রকার জ্ঞান উৎপন্ন হয়, অথচ সেই শব্দ-প্রতিপাদ্য বস্তুর অস্তিত্ব যদি না থাকে, তাহাকে বিকল্প অর্থাৎ শব্দ-জাত ভ্রম বলে। ( ইহা তিন প্রকার—বস্তু, ক্রিয় ও অভাব । )