পাতা:রাজযোগ.djvu/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগসূত্র বৈরাগ্য। স্বায়ুভূত ও পরামৃদ্ভূত বিষয় হইতে যে আমাদের দুই প্রকার কার্য প্রবৃত্তি জন্মায়, উহাদিগকে দমন করা ও এইরূপে চিত্তকে উহাদের বশ হইতে না দেওয়াকে বৈরাগ্য বলে। ঐগুলি যেন আমার অধীনে থাকে, আমি ষেন উহাদের অধীন না হই । এই প্রকার মনের বলকে বৈরাগ্য বলে--এই বৈৰাগ্যই মুক্তির একমাত্র উপায় । তৎপরং পুরুষখাতেগুৰ্ণবৈতৃষ্ণমৃ ॥ ১৬ ॥ সূত্রার্থ।—যে তীব্র বৈরাগ্য লাভ হইলে আমরা গুণ-গুলিতে পর্য্যন্ত বীতরাগ হই ও উহাদিগকে পরিত্যাগ করি, তাহাই পুরুষের প্রকৃত স্বরূপ প্রকাশ করিয়া দেয়। ব্যাখ্যা । যখন এই বৈরাগ্য আমাদের গুণের প্রতি আসক্তিকে পর্য্যস্ত পরিত্যাগ করায়, তখনই উহাকে শক্তির উচ্চতম বিকাশ (অগ্র ) বলা যায়। প্রথমে পুরুষ বা আত্মা কী ও গুণগুলিই বা কী, তাহা আমাদের জানা উচিত। ষোগশাস্ত্রেব মতে, সমুদয় প্রকৃতি ত্রিগুণাত্মিক ; ঐ গুণগুলির একটির নাম তম:, অপবটি বজঃ ও তৃতীয়টি সত্ত্ব । এই তিন গুণ বাহ-জগতে আকর্ষণ, বিকর্ষণ ও উহাদের সামঞ্জস্ত এই ত্ৰিবিধ ভাবে প্রকাশ পায়। প্রকৃতিতে যত বস্তু আছে, সমুদয় প্রপঞ্চই এই তিন শক্তির বিভিন্ন সমবায়ে উৎপন্ন। সাংখ্যের প্রকৃতিকে নানাপ্রকার, তত্ত্বে বিভক্ত করিয়াছেন ; মমুষ্যের আত্মা ইহাদের সকলগুলির বাহিরে, প্রকৃতির বাহিরে ; উহা স্বপ্রকাশ, শুদ্ধ ও পূর্ণস্বরূপ; আর প্রকৃতিতে ৰে কিছু চৈতুষ্ঠের প্রকাশ 343 R