পাতা:রাজযোগ.djvu/১৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করা, তাহাকেই সবিতর্ক বলে। কিন্তু শক্তি লাভ করিলেই, মুক্তিলাভ হয় না। উহা কেবল ভোগের জন্য চেষ্টা মাত্র । আক এই জীবনে প্রকৃত ভোগমুখ হইতেই পারে ন! । ভোগমুথের অন্বেষণ বৃপ, ইহাই জগতে অতি প্রাচীন উপদেশ ; কিন্তু মানুষের পক্ষে ইহা ধারণ করা অতি কঠিন । যখন সে ইহার ধারণা করিতে পারে, তখন সে জগতের অতীত হইয়া মুক্ত হইয়া যায়। যে গুলিকে সাধারণতঃ গুহশক্তি বলে, তাহা লাভ করিলে ভোগের বৃদ্ধি হয় মাত্র, কিন্তু পরিশেষে তাহা হইতে আবার যন্ত্রণারও বৃদ্ধি হয় । অবশু, বিজ্ঞানের চক্ষে দৃষ্টি কবিয়া পতঞ্জলি এই গুহ শক্তি লাভের সম্ভাবন স্বীকার করিয়াছেন। কিন্তু তিনি এই সমুদয় শক্তির প্রলোভন হইতে আমাদিগকে সাবধান কবিয়া দিতে ভুলেন নাই । আবার সেই ধ্যানেই যখন ঐ ভূতগুলিকে দেশ ও কাল 鱲 হইতে পৃথক করিয়া উহাদিগের স্বরূপ চিন্তা করা যায়, তখন সেই সমাধিকে নিৰ্ব্বিতৰ্ক সমাধি বলে। যখন অব এক সোপান অগ্রসর হইয়া তন্মাত্রগুলিকে ধ্যানের বিষয় করিয়া উহাদিগকে দেশকালের অন্তর্গত বলিয়া চিন্ত করা যায়, তখন তাহাকে সবিচার সমাধি বলে। আবার ঐ সমাধিতে যখন ঐ স্বল্পভূতগুলিকে দেশকালের অতীত ভাবে লইয়া উহাদের স্বরূপ চিন্তা করা যায়, তখন তাঁহাকে নির্বিচার সমাধি বলে । ইহার পরবর্তী সোপান এই—ইহাতে সূক্ষ, স্থল উভয় প্রকার, ভূতের চিন্তা পরিত্যাগ করিয়া অন্তঃকরণকে ধ্যানের বিষয় করিঙে হয়। যখন অন্তঃকরণকে রজগুযোগেশাস্তুবিছরপে ? & 8 �