এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অবতরণিকা

রকমারি মত মাত্র, উহাদের সত্যাসত্য বিচারের ত একটা মানদণ্ড নেই, যাঁর যা খুসি, তিনি তাই প্রচার করতে ব্যস্ত।” কিন্তু তাঁহারা যাহাই ভাবুন না কেন, প্রকৃতপক্ষে ধর্ম্মবিশ্বাসের এক সার্ব্বভৌমিক মূলভিত্তি আছে—উহাই বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বিভিন্ন মতবাদ ও সর্ব্ববিধ বিভিন্ন ধারণাসমূহের নিয়ামক। ঐগুলির মূলদেশে যাইলে আমরা দেখিতে পাই যে, উহারাও সার্ব্বজনীন অভিজ্ঞতা ও অনুভূতির উপর প্রতিষ্ঠিত।

 প্রথমতঃ, আমি অনুরোধ করি যে, আপনার পৃথিবীর ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম্মসকল একটু বিশ্লেষণ করিয়া দেখুন। অল্প অনুসন্ধানেই দেখিতে পাইবেন যে, উহারা দুই শ্রেণীতে বিভক্ত। কতকগুলির শাস্ত্র-ভিত্তি আছে; কতকগুলির শাস্ত্র-ভিত্তি নাই। যে গুলি শাস্ত্রভিত্তির উপর স্থাপিত, তাহারা সুদৃঢ়; তদ্ধর্ম্মাবলম্বি-লোকসংখ্যাও অধিক। শাস্ত্র-ভিত্তিহীন ধর্ম্মসকল প্রায়ই লুপ্ত। কতকগুলি নূতন হইয়াছে বটে, কিন্তু অল্পসংখ্যক লোকেই তদনুগত। তথাপি উক্ত সকল সম্প্রদায়েই এই মতৈক্য দেখা যায় যে, তাঁহাদের শিক্ষা বিশেষ বিশেষ ব্যক্তির প্রত্যক্ষ অনুভব মাত্র। খ্রীষ্টিয়ান তোমাকে তাঁহার ধর্ম্মে, যীশুখীষ্টকে ঈশ্বরের অবতার বলিয়া, ঈশ্বর ও আত্মার অস্তিত্বে এবং ঐ আত্মার ভবিষ্যৎ উন্নতির সম্ভাবনীয়তায় বিশ্বাস করিতে বলিবেন। যদি আমি তাঁহাকে এই বিশ্বাসের কারণ জিজ্ঞাসা করি, তিনি আমাকে বলিবেন—“ইহা আমার বিশ্বাস।” কিন্তু যদি তুমি খ্রীষ্ট-ধর্ম্মের মুলদেশে গমন করিয়া দেখ, তাহা হইলে দেখিতে পাইবে যে, উহাও প্রত্যক্ষানুভূতির উপর স্থাপিত। যীশুখ্রীষ্ট বলিয়াছেন,