পাতা:রাজযোগ.djvu/১৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগসূত্র মুক্ত আত্মা যখন বাহ আজ্ঞা করিবেন—প্রার্থনা বা ভিক্ষুকের মত যাচঞ নয়, কিন্তু আজ্ঞা করিবেন,-তিনি বাহা ইচ্ছ করিবেন তৎক্ষণাৎ তাহাই পূর্ণ হইবে, তিনি যখন যাহা ইচ্ছা করিবেন, তখন তাঁহাই করিতে সমর্থ হইবেন । সাংখ্যদর্শনের মতে, ঈশ্বরের অস্তিত্ব নাই। এই দর্শন বলেন, জগতের ঈশ্বর কেহ থাকিতে পারেন না, কারণ, যদি তিনি থাকেন, তাহা হইলে তিনি নিশ্চয়ই আত্মা, আর আত্মা বদ্ধ বা মুক্তস্বভাব— এই উভয়ের অন্ততর। যে আত্ম প্রকৃতির বশীভূত, প্রকৃতি যে আত্মার উপর আধিপত্য স্থাপন করিয়াছেন, তিনি কিরূপে । কৃষ্টি করিতে পারেন ? তিনি ত নিজেই দাসরূপ । আবার যদি অপর পক্ষ গ্রহণ করা যায়, অর্থাৎ আত্মাকে যদি মুক্ত বলিয়া স্বীকার করা যায়, তবে এই আপত্তি আইসে যে, মুক্ত আত্মা কিরূপে স্বষ্টি ও এই সমুদয় জগতের ক্রিয়াদি নির্বাহ কবিতে পারেন ? উ*হার কোন বাসনা থাকিতে পারে না, সুতরাং উহার স্বষ্টি ও জগৎশাসনাদি করিবার কোন প্রয়োজন থাকিতে পারে না । দ্বিতীয়তঃ, এই সাংখ্যদর্শন বলেন যে, ঈশ্বরের অস্তিত্ব স্বীকার করিবার কোন আবশ্যক নাই। প্রকৃতি স্বীকার করিলেই যখন সমুদয় ব্যাখ্যা করা যায়, তখন ঈশ্বরের আর প্রয়োজন কি ? তবে কপিল বলেন, অনেক আত্মা এরূপ আছেন, যাহারা সিদ্ধাবস্থার কাছাকাছি যাইয়াও বিভূতিলাভের বাসনা সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ করিতে না পারায় যোগভ্ৰষ্ট হন। তাহদের মন কিছুদিন প্রকৃতিতে লীন হইয়া থাকে তাহারা যখন আবার উৎপন্ন হন, তখন প্রকৃতির

  • 敏冷