পাতা:রাজযোগ.djvu/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ শব্দের ভিত্তি-স্বরূপ। উহার প্রথম অক্ষব ‘অ’ সমুদয় শব্দের মূল—উহাই সমুদয় শব্দের কুঞ্চিকাস্বরূপ, উৎ জিহা অথবা তালুর কোন অংশ স্পর্শ না করিয়াই উচ্চারিত হয়। ‘ম’— বগীয় সমুদয় শব্দের শেষ শব্দ, উহার উচ্চারণ করিতে হইলে, ওষ্ঠদ্বয় বন্ধ কবিতে হয়। আর ‘উ’ এই শব্দ জিহবামূল হইতে মুখমধ্যবর্তী শব্দাধারের শেষ সীমা পৰ্য্যস্ত যেন গড়াইয়া যাইতেছে। এইরূপে ‘ওঁ শব্দটিব দ্বার সমুদয় শব্বোচ্চারণ ব্যাপারটি প্রকাশিত হইতেছে। এই কারণে উহাই স্বাভাবিক বাচক শব্দ-উহাই সমুদয় ভিন্ন ভিন্ন শব্দের জননী-স্বরূপ। যত প্রকার শব্দ উচ্চারিত হইতে পাবে—আমাদের ক্ষমতায় যত প্রকার শব্দ উচ্চারণেব সম্ভাবনা আছে, উহ। তৎ সমুদয়ের স্বচক। এই সকল আনুমানিক গবেষণা ছাড়িয়া দিলেও দেখা যায়, ভবিতবর্ষে যত প্রকার বিভিন্ন ধৰ্ম্মভাব আছে, এই ওঙ্কার সকল-গুলিবই কেন্দ্র স্বরূপ, বেদের বিভিন্ন ধৰ্ম্মভাবসমূহ এই ওঙ্কারকে আশ্রয় করিয়া রহিয়াছে। এক্ষণে কথা হইতেছে, ইহার সহিত আমেরিকা, ইংলণ্ড ও অন্তান্ত দেশের কি সম্বন্ধ আছে । ইহার উত্তর এই—সৰ্ব্বদেশে এই ওঙ্কারের ব্যবহার চলিতে পারে ; তাহার কাবণ এই যে, ভারতবর্ষে যতক্লপ বিভিন্ন ধৰ্ম্মভাবের বিকাশ হইয়াছে, ওঙ্কার তাহাব প্রত্যেক সোপানেই পরিরক্ষিত হইয়াছে ও উহা ঈশ্বরসম্বন্ধীয় ভিন্নভিন্ন ভাব বুঝাইবার জন্য ব্যবহৃত হইয়াছে। "অদ্বৈতবাদী, দ্বৈতবাদী, দ্বৈতাদ্বৈতবাদী, ভেদাভেদবাদী, এমন কি নাস্তিকগণ পৰ্য্যস্ত তাছাদের উচ্চতম আদর্শ প্রকাশের জন্ত এই ওঙ্কার অবলম্বন ১৬৮