পাতা:রাজযোগ.djvu/১৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ লাভ না করা, ঐ অবস্থা লাভ হইলেও তাহা হইতে পতিত হওয়া—এইগুলিই চিত্তবিক্ষেপের অন্তরায় । ব্যাখ্যা। ১ম ব্যাধি—এই জীবন-সমুদ্রের অপর পারে যাইতে হইলে, এই শরীরই উহা পার হইবার একমাত্র নৌকা । ইহাকে সুস্থ রাখিবার জন্ত বিশেষ যত্ব করিতে হইবে । অসুস্থশবীরিগণ যোগী হইতে পারে না । মানসিক জড়তা আসিলে, আমাদের যোগবিষয়ক প্রবল অনুরাগ নষ্ট হইয়া যায় । উহার অভাবে সাধন করিবার জন্য যে দৃঢ় সংকল্প ও শক্তি থাকা প্রয়োজন, তাহার কিছুই থাকে না। আমাদের এই বিষয়ে বিচাবজনিত বিশ্বাস যতই থাকুক না কেন, যতদিন না দূৰদৰ্শন, দুৰ্বশ্ৰবণাদি অলৌকিক অনুভূতি না আসিবে, ততদিন এই বিদ্যার সত্যতা বিষয়ে অনেক সন্দেহ আসিবে । যখন এই সকলের একটুএকটু আভাস আসিতে থাকে, তখন মনও খুব দৃঢ় হইতে থাকে, তাহাতে ঐ সাধককে সাধনপথে আরও অধ্যবসায়শীল করিয়া তুলে । অনবস্থিতত্ব—কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহ ধরিয়া সাধন করিবার সময় দেখিবে, মন বেশ সহজে একাগ্র ও স্থির হইতেছে ; বোধ হইতেছে, তুমি সাধনপথে শীঘ্র শীঘ্র খুব উন্নতি করিতেছ। একদিন দেখিবে, হঠাৎ তোমার এই উন্নতিস্রোত বন্ধ হইয়া গেল । তুমি দেখিলে, যেন হঠাৎ একদিন তোমার সমুদয় উন্নতিস্রোত বন্ধ হইয়া, যেমন জাহাজ চড়ায় সংলগ্ন হইলে চলনরহিত হয়, সেইরূপ হইল। এইরূপ হইলে অধ্যবসায়শূন্ত হইও না। এইরূপে বারবার উঠা পড়া হইতেই ক্রমে উন্নতিলাভ হইয়া থাকে। Y ১৭২