এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
অবতরণিকা

করি। যদি জগতে কোন প্রকার বিজ্ঞানের কোন বিষয়ে কেহ কখন প্রত্যক্ষ উপলব্ধি করিয়া থাকেন, তাহা হইলে তাহা হইতে আমরা এই সাৰ্ব্বভৌমিক সিদ্ধান্তে উপনীত হইতে পারি যে, পূৰ্ব্বেও উহা কোটী কোটী বার উপলব্ধির সম্ভাবনা ছিল, পরেও অনন্তকাল ধরিয়া উহার উপলব্ধির সম্ভাবনা থাকিবে। সমবৰ্ত্তনই প্রকৃতির বলবৎ নিয়ম; যাহা একবার ঘটিয়াছে, তাহা পুনরায় ঘটিতে পারে।

যোগ-বিদ্যার আচাৰ্য্যগণ সেই নিমিত্ত বলেন, ‘ধৰ্ম্ম যে কেবল পূৰ্ব্বকালীন অনুভূতির উপর স্থাপিত, তাহা নহে;-পরন্তু স্বয়ং এই সকল অনুভূতিসম্পন্ন না হইলে কেহ ধাৰ্ম্মিক হইতে পারে না। যে বিদ্যার দ্বারা এই সকল অনুভূতি হয়, তাহার নাম যোগ।' ধৰ্ম্মের সত্যসকল যতদিন না কেহ অনুভব করিতেছেন, ততদিন ধৰ্ম্মের কথা কহাই বৃথা। ভগবানের নামে গণ্ডগোল, যুদ্ধ, বাদানুবাদ কেন? ভগবানের নামে যত রক্তপাত হইয়াছে, অন্য কোন বিষয়ের জন্য এত রক্তপাত হয় নাই; তাহার কারণ এই, কোন লোকই মূলে গমন করে নাই। সকলেই পূর্বপুরুষগণের কতকগুলি আচারেব অনুমোদন করিয়াই সস্তুষ্ট ছিলেন। তাঁহারা চাহিতেন, অপরেও তাহাই করুক। যাঁহার আত্মার অনুভূতি অথবা ঈশ্বব সাক্ষাৎকার না হইয়াছে, তাঁহার আত্মা বা ঈশ্বর আছেন বলিবার অধিকার কি? যদি ঈশ্বর থাকেন, তাঁহাকে দর্শন করিতে হইবে; যদি আত্মা বলিয়া কোন পদার্থ থাকে, তাহাকে উপলব্ধি করিতে হইবে। তাহা না হইলে বিশ্বাস না করাই ভাল। ভণ্ড অপেক্ষা স্পষ্টবাদী নাস্তিক ভাল। একদিকে, আজকালকার বিধান বলিয়া পরিচিত লোকসকলের মনের ভাব