যোগসূত্র একটু স্থির হইবে। কিন্তু পরবর্তী কালে ইহা হইতেই প্রাণায়াম নামক বিশেষ বিদ্যার উৎপত্তি হইয়াছে। এই পরবর্তী যোগিগণ কি বলেন, আমাদের তৎসম্বন্ধে কিছু জানা আবশুক । এ বিষয়ে পূৰ্ব্বেই কিছু বলা হইয়াছে, এখানে আবও কিছু বলিলে তোমাদের মনে রাখিবার সুবিধা হইবে। প্রথমতঃ মনে রাখিতে হইবে, এই প্রাণ বলিতে ঠিক শ্বাসপ্রশ্বাস বুঝায় না ; যে শক্তিবলে শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি হয়, যে শক্তিটি বাস্তবিক শ্বাসপ্রশ্বাসেরও প্রাণস্বরূপ, তাহাকে প্রাণ বলে । আবার এই প্রাণশব্দ সমুদয় ইন্দ্রিয়গুলির নামরূপে ব্যবহৃত হইয়া থাকে। এষ্ট সমুদয়কেই প্রাণ বলে । মনকেও আবার প্রাণ বলে। অতএব দেখা গেল যে প্রাণ অর্থ শক্তি । তথাপি ইহাকে আমবা শক্তি নাম দিতে পাবি না, কাবণ, শক্তি ঐ প্রাণের বিকাশ স্বরূপ। ইহাই শক্তি ও নানাবিধ গঃিরুপে প্রকাশিত হইতেছে। চিত্ত যন্ত্রস্বরূপ হইয়া চতুর্দিক হইতে প্রাণকে আকর্ষণ করিয়া এই প্রাণ হইতেই শরীরবক্ষার কারণীভূত ভিন্নভিন্ন জীবনী-শক্তি এবং চিন্তা, ইচ্ছা ও অন্তান্ত সমুদয়ুশক্তি উৎপন্ন করিতেছে। পূৰ্ব্বোক্ত প্রাণায়াম ক্রিয়াদ্বারা আমরা শরীরের সমুদয় ভিন্নভিন্ন গতি ও শরীরের অন্তর্গত সমুদয় ভিন্নভিন্ন স্নায়বীয় শক্তিপ্রবাহগুলিকে বশে আনিত্বে পারি। আমরা প্রথমতঃ ঐ গুলিকে উপলব্ধি ও সাক্ষাৎকার করি, পরে অল্পে অল্পে উহাদের উপর ক্ষমতা লাভ করি—উহাদিগকে বশীভূত করিতে কৃতকাৰ্য্য হই। পতঞ্জলির পরবর্তী যোগীদিগের মতে শরীরের মধ্যে তিনটি প্রধান প্রাণপ্রবাহ আছে। ›ፃፃ છે ર
পাতা:রাজযোগ.djvu/১৯১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।