পাতা:রাজযোগ.djvu/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগসূত্র এক সীমা প্রস্তুত করিয়া না দেয়, তাহা হইলে ঐ পথটি বন্ধ হইয়া যায়। যদি ঐ ধূসরবর্ণ পদার্থটি না থাকিত, তাহা হইলে আমাদের স্মৃতিই সম্ভব হইত না, কারণ, স্মৃতির অর্থ, পুরাতন পথে ভ্রমণ, একটি পূৰ্ব্ব চিস্তার উপব দাগ বুলান। হয়ত, তোমরা, লক্ষ্য কবিয়া থাকিবে, যখন আমি সৰ্ব্বপরিচিত কতকগুলি বিষয় গ্রহণ করিয়া ঐ গুলিবই ঘোরফের করিয়া কিছু বলিতে প্রবৃত্ত হই, তখন তোমরা সহজেই আমাক কথা বুঝিতে পার, ইহার কারণ আর কিছুই নয়—এই চিন্তাব পথ বা প্রণালীগুলি প্রত্যেকেরই মস্তিষ্কে বিদ্যমান আছে, কেবল ঐ গুলিতে পুনঃ পুনঃ প্রত্যাবৰ্ত্তন করা আবশুক হয়, এই মাত্র । কিন্তু যখনই কোন নুতন বিষয় আমাদের সম্মুখে আইসে, তখনই মস্তিষ্কের মধ্যে নুতন প্রণালীর নিৰ্ম্মাণ আবগুক হয় ; এই জন্ত তত সহজে উহা বুঝা যায় না। এই জন্যই মস্তিষ্ক—মানুষেবা নয়, মস্তিষ্কই—অজ্ঞাতসারে এই নূতন প্রকার ভাবদ্বারা পরিচালিত হইতে অস্বীকার কবে । উহা যেন সবলে এই নুতন প্রকার ভাবের গতিরোধ করিবার চেষ্টা করে। প্রাণ নুতন নুতন প্রণালী করিতে চেষ্টা করিতেছে, মস্তিষ্ক তাহা করিতে দিতেছে না । মানুষ যে স্থিতিশীলতার এত পক্ষপাতী, তাহার গুহ কারণ ইহাই । মস্তিষ্কের মধ্যে এই প্রণালীগুলি যত অল্প পরিমাণে আছে, আর প্রাণরূপ স্থচিকা উহার ভিতর যত অল্পসংখ্যক পথ প্রস্তুত করিয়াছে, মস্তিষ্ক ততই স্থিতিশীলতাপ্রিয় হইবে, ততই উহ নূতন প্রকার চিস্তা ও ভাবের • বিরুদ্ধে সংগ্রাম করিবে । মানুষ যতই চিস্তাশীল > ዓ ă