পাতা:রাজযোগ.djvu/২০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগসূত্র প্রতিক্রিয়াস্বরূপে, উৎপন্ন হইয়া থাকে, উহার একটির পর আর একটি এত শীঘ্ৰ আসিয়া থাকে যে, উহাদের মধ্যে একটি হইতে আর একটিকে বাছিয়া লওয়া অতি দুর্ঘট ; এখানে যে সমাধির কথা বলা হইল, তাহা দীর্ঘকাল অভ্যাস করিলে পর সমুদয় সংস্কারের আধারভূমি স্মৃতি শুদ্ধ হইয়া যায়, তখনই আমরা উহাদের মধ্যে একটি হইতে অপরটিকে পৃথক্ করিতে পারি, ইহাকেই নিৰ্ব্বিতর্ক সমাধি বলে । এতয়ৈব সবিচারা নির্বিচারা চ সূক্ষবিষয়া ব্যাখ্যাত ॥ ৪৪ ॥ সূত্রার্থ।—পূৰ্ব্বোক্ত সূত্রদ্বয়ে যে সবিতর্ক ও নিৰ্ব্বিতর্ক সমাধিদ্বয়ের কথা বলা হইল, তন্দ্বারাই সবিচার ও নির্বিচার উভয় প্রকার সমাধি, যাহাদের বিষয় সূক্ষ্মতর, তাহাদেরও ব্যাখ্যা করা হইল। ব্যাখ্যা । এখানে পূৰ্ব্বেব ন্তায় বুঝিতে হইবে। কেবল পূৰ্ব্বোক্ত দুইটি সমাধির বিষয় স্থল, এখানে উহার বিষয় স্বল্প। সূক্ষবিষয়ত্বঞ্চালিঙ্গপর্য্যবসানম্ ॥ ৪৫ ॥ সূত্রার্থ —সূক্ষ্মবিষয়ের অস্ত প্রধান পর্য্যন্ত । ব্যাখ্যা। ভূতগুলি ও তাহা হইতে উৎপন্ন সমুদয় বস্তুকে স্থল বলে। স্বক্ষবস্তু তন্মাত্রা হইতে আরম্ভ হয়। ইন্দ্রিয়, মন (অর্থাৎ সাধারণ ইঞ্জিয়, সমুদয় ইন্দ্রিয়ের সমষ্টিস্বরূপ ), অহঙ্কার, মহতৰু (বাহা সমুদয় ব্যক্ত জগতের কারণ), সত্ব, রজঃ ও yS