পাতা:রাজযোগ.djvu/২০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগসূত্র বিষয়ক জ্ঞান প্রত্যক্ষামুভব, তদুপস্থাপিত অম্বুমান ও বিশ্বস্তলোকের বাক্য হইতে প্রাপ্ত হই । ‘বিশ্বস্তলোক” অর্থে যোগীরা ঋষিদিগকে লক্ষ্য কবিয়া থাকেন, ঋষি অর্থে বেদবর্ণিত ভাবগুলির দ্রষ্টা অর্থাৎ যাহারা সেই গুলিকে সাক্ষাৎ করিয়াছেন । তাহাদের মতে শাস্ত্রের প্রামাণ্য কেবল এই জন্য যে, উহ বিশ্বস্তলোকের বাক্য। শাস্ত্র বিশ্বস্তলোকের বাক্য হইলেও র্তাহারা বলেন, শুদ্ধ শাস্ত্র আমাদিগকে সত্য অনুভব করাইতে কখনই সমর্থ নহে। আমরা সমুদয় বেদ পাঠ করিলাম, তথাপি আধ্যাত্মিক তত্বের অনুভূতি কিছুমাত্র হইল না। কিন্তু যখন আমরা সেই শাস্ত্রোক্ত সাধনপ্রণালী অনুসারে কার্ধ্য করি, তখনই আমরা এমন এক অবস্থায় উপনীত হই, যে অবস্থায় শাস্ত্রোক্ত কথাগুলির প্রত্যক্ষ উপলব্ধি হয় ; যুক্তি, প্রত্যক্ষ ও অনুমান যথায় ঘেঁসিতে পারে না, উহা তথায়ও প্রবেশে সমর্থ, তথায় আপ্তবাক্যেরও কোন কাৰ্য্যকারিতা নাই। এই স্বত্রদ্বারা ইহাই প্রকাশিত হইয়াছে যে প্রত্যক্ষ করাই যথার্থ ধৰ্ম্ম, ধৰ্ম্মের উহাই সার, আর অবশিষ্ট যাহা কিছু, যথা, ধৰ্ম্মবক্তৃতাশ্রবণ অথবা ধৰ্ম্মপুস্তক পাঠ অথবা বিচার কেবল ঐ পথের জন্য প্রস্তুত হওয়া মাত্র । উহা প্রকৃত ধৰ্ম্ম নহে । কেবল কোন মতে বুদ্ধিব সায় দেওয়া, বা না-দেওয়া ধৰ্ম্ম নহে। যোগীদিগের মূল ভাব এই যে, যেমন ইঞ্জিয়-বিষয়ের সহিত আমাদের সাক্ষাৎ সম্বন্ধঘটনা হয়, ধৰ্ম্মও তক্রপ প্রত্যক্ষ করা যাইতে পাবে ; বরং উহা আরও উজ্জলতররূপে অনুভূত হইতে পারে। . ঈশ্বর, আত্মা প্রভৃতি ধৰ্ম্মের যে সকল প্রতিপাদ্য ᎼᎼ Ꮍ