পাতা:রাজযোগ.djvu/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগসূত্র হন কেন ? চিত্তে এই নানাপ্রকার তরঙ্গ উখিত হইয়া আত্মাকে আবুত করে, আমরা কেবল এই তরঙ্গগুলির ভিতর দিয়াই আত্মার কিঞ্চিৎ প্রতিবিম্বমাত্র দেখিতে পাই । যদি ক্ৰোধবৃত্তিরূপ প্রবাহ উখিত হয়, তবে আমবা আত্মাকে ক্রোধযুক্ত অবলোকন করি ; বলিয়া থাকি, 'আমি রক্ট হইয়াছি। যদি প্রেমেক এক তরঙ্গ চিত্তে উত্থিত হয়, তবে ঐ তরঙ্গে আপনাকে প্রতিবিম্বিত দেখিয়া মনে কবি যে, আমি ভালবাসিতেছি। যদি দুৰ্ব্বলতারূপবৃত্তি আসিরা উদিত হয়, তবে উহাতে আপনাকে প্রতিবিম্বিত কবিয়া মনে করি, আমি দুৰ্ব্বল। এই সকল বিভিন্ন পূৰ্ব্বসংস্কার আত্মার স্বরূপকে আবহণ করিলেই এই সকল বিভিন্ন ভাব উদিত হইয়া থাকে । চিত্তহ্রদে যতদিন পর্য্যন্ত একটিও তরঙ্গ থাকিবে, ততদিন আত্মার প্রকৃতস্বরূপ দেখা যাইবে না। যতদিন না সমুদয় প্রবাহ একেবারে উপশান্ত হইয়া যাইতেছে, ততদিন আত্মার প্রকৃত স্বরূপ কখনই প্রকাশিত হইবে না । এই কারণেই পতঞ্জলি প্রথমে এই প্রবাহস্বরূপ বৃত্তি গুলি কি, তাহ জানাইয়া দ্বিতীয়তঃ উহাদিগকে দমন করিবার সর্বশ্রেষ্ঠ উপায় শিক্ষা দিলেন— তৃতীয়তঃ এই শিক্ষা দিলেন যে, যেমন এক বৃহৎ অগ্নিরশিক্ষুদ্র অগ্নিকণাগণকে গ্রাস করে, তেমনি একটি প্রবাহকে এত দূর প্রবল করিতে হইবে, যাহাতে অপব প্রবাহগুলি একেবারে লুপ্ত হইয়া যায়। যখন • একটি প্রবাহমাত্র অবশিষ্ট থাকিবে, তখন উহাকেও নিবারণ করা সহজ হইবে। আর যখন উহাও চলিয়া যাইবে, তখনি সেই সমাধিকে নিৰ্ব্বল্প সমাধি > Ꮌ☾