এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
অবতরণিকা
তমেব বিদিত্বাতিমৃত্যুমেতি।
নান্যঃ পন্থা বিদ্যতেহয়নায় ॥” শ্বেঃ উঃ ৩|৮

হে অমৃতের পুত্ৰগণ ! হে দিব্যধামনিবাসিগণ । শ্রবণ কর— আমি এই অজ্ঞানান্ধকার হইতে আলোকে যাইবার পথ পাইয়াছি, যিনি সমস্ত তমের অতীত, তাহাকে জানিতে পারিলেই তথায় যাওয়া যায়—মুক্তির আর কোন উপায় নাই। রাজযোগ-বিদ্যা এই সত্য লাভ করিবার, প্রকৃত কাৰ্য্যকরী ও সাধনোপযোগী বৈজ্ঞানিক প্রণালী মানবসমক্ষে স্থাপন করিবার প্রস্তাব করেন। প্রথমতঃ, প্রত্যেক বিস্তারই বা সাধন প্রণালী স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র। তুমি যদি জ্যোতিৰ্ব্বেত্ত হইতে ইচ্ছা কর, আর বসিয়া বসিয়া কেবল জ্যোতিষ জ্যোতিষ বলিয়া চীৎকার কর জ্যোতিষশাস্ত্রে তুমি কখনই অধিকারী হইবে না। রসায়ন শাস্ত্র সম্বন্ধেও ঐরূপ, উহাতেও একটি নির্দিষ্ট প্রণালীর অনুসরণ করিতে হইবে ; পরীক্ষাগারে ( Laboratory ) গমন করিয়া বিভিন্ন দ্রব্যাদি লইতে হইবে, উহাদিগকে একত্রিত করিতে হইবে, মাত্রা বিভাগে মিশাইতে হইবে, পরে তাহাদিগকে লইয় পরীক্ষা করিতে হইবে, তবে তুমি রসায়নবিৎ হইতে পারিবে । যদি তুমি জ্যোতিৰ্ব্বিত হইতে চাও, তাহা হইলে তোমাকে মানমন্দিরে গমন করিয়া দূরবীক্ষণ যন্ত্র সাহায্যে তারা ও গ্রহ গুলি পৰ্যবেক্ষণ করিয়া তদ্বিয়ে আলোচনা করিতে হইবে, তবেই তুমি জ্যোতিৰ্ব্বিৎ হইতে,পারিবে। প্রত্যেক বিস্কারই এক একটি নির্দিষ্ট প্রণালী আছে । আমি তোমাদিগকে শত সহস্র উপদেশ দিতে পারি, কিন্তু তোমরা যদি সাধনা না কর, ভোমরা q