পাতা:রাজযোগ.djvu/২১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগসূত্র ষে, যদি তুমি কোন রাজহংসের সম্মুখে একপাত্র জলমিশ্রিত দুগ্ধ ধর, তবে সে সমুদয় দুগ্ধটুকু পান করিবে, জলটুকু ফেলিয়া রাখিবে। এইরূপে জ্ঞানের যে টুকু প্রয়োজনীয় অংশ, তাহ গ্রহণ করিয়া অসারভাগ টুকু আমাদিগকে ফেলিয়া দিতে হইবে। প্রথম অবস্থায় এই বুদ্ধির ব্যায়াম আবশুক করে। অন্ধভাবে কিছুই গ্রহণ করিলে চলিবে না। তবে যিনি যোগী, তিনি এই তর্কযুক্তির অবস্থা অতিক্রম করিয়া একটি পৰ্ব্বতবৎ আচল দৃঢ় সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছেন। তাহার তখন একমাত্র উদ্বেগু হয় যে, ঐ সিদ্ধান্তটিতে দৃঢ়প্রত্যয় হওয়া। তিনি বলেন, বিচাব কবিও না ; যদি কেহ জোর কবিয়া তোমার সহিত তর্ক কবিতে আইসে, তুমি তর্ক না করিয়া চুপ করিয়া থাকিবে। কোন তর্কের উত্তর না দিয়া শাস্তভাবে তথা হইতে চলিয়া যাইবে, কারণ, তর্কের দ্বাবা কেবল মন চঞ্চল হয় মাত্র । তর্কের প্রয়োজন ছিল, কেবল বুদ্ধিকে সতেজ করা ; তাহাই যখন সম্পন্ন হইয়া গেল, তখন আর উহাকে বৃথা চঞ্চল করিবার প্রয়োজন কি ? বুদ্ধি একটি দুর্বল যন্ত্র মাত্র, উহা আমাদিগকে ইন্দ্রিয়ের গণ্ডিব মধ্যবৰ্ত্তা জ্ঞান দিতে পারে মাত্র। যোগীর উদ্দেশু ইন্দ্ৰিয়াতীত প্রদেশে যাওয়া, সুতরাং তাহার পক্ষে বুদ্ধি চালনার আর কোন প্রয়োজন থাকে না। তিনি এই বিষয়ে দৃঢ়নিশ্চিত হইয়াছেন, সুতরাং তিনি আর তর্ক করেন না, চুপচাপ থাকেন। কারণ, তর্ক করিতে গেলে মন সমতাচ্যুত হইয় পড়ে, চিত্তের মধ্যে একটা বিশৃঙ্খল উপস্থিত হয় ; আর চিত্তের এইরূপ বিশৃঙ্খলা তাহার SSS -