এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ কখনই ধাৰ্ম্মিক হইতে পারিবে না ; সমুদার যুগেই, সমুদায় দেশেই, নিষ্কাম শুদ্ধ-স্বভাব সাধুগণ এই সত্য প্রচার করিয়া গিয়াছেন। তাহদের, জগতের হিত ব্যতীত আর কোন কামন! ছিল না। তাহারা সকলেই বলিয়াছেন যে—ইন্দ্রিয়গণ আমাদিগকে যতদূর সত্য অনুভব করাইতে পারে, আমরা তাহা অপেক্ষী উচ্চতর সত্য লাভ করিয়াছি এবং তাহ পরীক্ষা করিতে আহবান করেন। তাহারা বলেন, তোমরা নির্দিষ্ট সাধন প্রণালী লইয়া সরলভাবে সাধন করিতে থাক। যদি এই উচ্চতর সত্য লাভ না কর, তাহা হইলে o পাব বটে যে, এই উচ্চতব সত্য সম্বন্ধে যাহা বলা হয়, তাহা যথার্থ নহে। কিন্তু তাহার পূৰ্ব্বে এই সকল উক্তির সত্যতা একেবাবে অস্বীকার করা কোন মতেই যুক্তিযুক্ত নহে } অতএব আমাদেব নির্দিষ্ট সাধন প্রণালী লইয়া যথাযথ ভাবে সাধন করা আবশ্যক, নিশ্চয়ই আলোক আসিবে। কোন জ্ঞান লাভ করিতে হইলে আমরা সামাঙ্গীকরণের ' সাহায্য লইয়া থাকি ; ইহার জন্য আবার ঘটনাসমূহ পর্যবেক্ষণ আবগুক। আমবা প্রথমে ঘটনাবলী পৰ্যবেক্ষণ করি, পরে সেই গুলিকে সামাষ্ঠীকৃত,এবং তাহা হইতে আমাদের সিদ্ধান্ত বা মতামত সমূহ উদ্ভাবন করি। আমরা যতক্ষণ পৰ্য্যন্ত না মনের ভিতর কি হইতেছে না হইতেছে প্রত্যক্ষ করিতে পারি, ততক্ষণ আমরা আমাদের মন সম্বন্ধে, মানুষের আভ্যন্তরিক প্রকৃতি সম্বন্ধে, মামুষের চিন্তা সম্বন্ধে কিছুই জানিতে পারি না। বাহজগতের ব্যাপার পর্য্যবেক্ষণ করা অতি সহজ । প্রকৃতির প্রতি অংশ পৰ্য্যবেক্ষণ করিবার জন্ত সহস্ৰ সহস্ৰ যন্ত্র নিৰ্ম্মিত হইয়াছে, কিন্তু - ゲ