পাতা:রাজযোগ.djvu/২২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ পর অপরটিতে কত যত্বের সহিত অঙ্গুলি প্রয়োগ করিতে হইত, কিন্তু বহুবৎসরের অভ্যাসের পব, এক্ষণে, আপনারা হয়ত, কোন বন্ধুব সহিত কথা কহিবেন, অথচ সঙ্গে সঙ্গে পিয়ানোর উপর অঙ্গুলি আপন আপনি চলিতে থাকিবে। উহা এক্ষণে আপনাদেব সহজাত-জ্ঞানে পরিণত হইয়াছে—উহা আপনাদের পক্ষে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হইয়া পড়িয়াছে। অষ্টান্ত কাৰ্য্য যাহা আমরা করিয়া থাকি, তাহাব সম্বন্ধেও ঐ । অভ্যাসের দ্বারা উহ! সহজাত-জ্ঞানে পরিণত হয়, স্বাভাবিক হইয়া যায়। কিন্তু আমরা যতদূর জানি, এক্ষণে যে ক্রিয়াগুলিকে স্বাভাবিক বা সহজাত জ্ঞানজনিত বলিয়া থাকি, সেগুলি পূৰ্ব্বে বিচারপূর্বক জ্ঞানের ক্রিয় ছিল, এক্ষণে নিম্নভাবাপন্ন হইয়া ঐরূপ স্বাভাবিক হইয়া পড়িয়াছে। যোগীদিগের ভাষায় সহজাত জ্ঞান, বিচাবের নিম্নভাবাপন্ন ক্রমসঙ্কুচিত অবস্থা মাত্র । বিচারজনিত জ্ঞান অবনত ভাবাপন্ন হইয়া স্বাভাবিক সংস্কারে পরিণত হয় । অতএব, আমর। এ জগতে যাহাকে সহজাত জ্ঞান বলি, তাহ যে কেবলমাত্র বিচারজনিত জ্ঞানের নিম্নাবস্থা মাত্র, একথা সম্পূর্ণ যুক্তিসঙ্গত। এই বিচার আবার প্রত্যক্ষামুভূতি ব্যতীত হইতে পারে না, স্বতবাং, সমুদয় সহজাত জ্ঞানষ্ট পূৰ্ব্ব প্রত্যক্ষামুভূতির ফল। কুঙ্কটগণ শুেনকে ভয় করে, হংসশাবকগণ জল ভালবাসে, ইহা সবই পূৰ্ব্ব-প্রত্যক্ষানুভূতির ফলস্বরূপ । এক্ষণে প্রশ্ন এই, এই অনুভূতি জীবাত্মার অথবা উহা কেবল শরীবের ? হংস একলাহা আন্তৰ করিতেছে, তাহা কেবল ঐ হংসের পিতৃপুরুষগণের অনুভূতি হইতে জাসিতেছে, না উহা হংসের নিজের - ૨ a ૧૭