পাতা:রাজযোগ.djvu/২২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগসূত্র কটু বলিতে আরম্ভ করিয়াছিল, তখনও আমার বোধ হইতেছিল যে আমার ক্রোধ আসিতেছে। তখন ক্রোধ একটি ও আমি একটি পৃথক পৃথক ছিলাম। কিন্তু যখনই আমি ক্রুদ্ধ হইয় উঠিলাম, তখন আমিই ষেন ক্রোধে পবিণত হইয়া গেলাম । ঐ বৃত্তিগুলিকে মূল হইতেই—তাহাদের স্বক্ষাবস্থা হইতেই উৎপাটন করিতে হইবে। উহারা আমাদের উপর কার্য্য করিতেছে, এটি বুঝিবার পূর্বেই উহাদিগকে সংযম করিতে হইবে । জগতের অধিকাংশ লোক এই বৃত্তিগুলির স্বক্ষাবস্থার অস্তিত্ব পর্য্যন্ত জ্ঞাত নহে। যে অবস্থায় ঐ বৃত্তিগুলি জ্ঞানের নিম্নভূমি হইতে একটু একটু করিয়া উদয় হয়, তাহাকেই বৃত্তির স্বাক্ষাবস্থা বলা যায়। যখন কোন হ্রদের তলদেশ হইতে একটি তরঙ্গ উখিত হয়, তখন আমরা উহাকে দেখিতে পাই না, শুধু তাহা নহে, উপরিভাগের খুব নিকটে আসিলে ৪ আমবা উহা দেখিতে পাই না ; যখনই উহার উপরে উঠিয়া একটি তরঙ্গাকারে পরিণত হয়, তখনই আমরা জানিতে পারি যে, একটি তরঙ্গ উঠিল । যখন আমরা ঐ তরঙ্গগুলির স্বাক্ষাবস্থাতেই উহাদিগকে ধরিতে পারিব। এইরূপে যত দিন না আমরা স্থলভাবে পরিণত হইবার পূৰ্ব্বেই স্বাক্ষাবস্থায় ঐ ইঞ্জিয়বৃত্তিগণকে সংযত করিতে পারিব, ততদিন কোন বৃত্তিই পূর্ণরূপে সংযম করিতে পারিব না। ইঞ্জিয়বৃত্তিগুলিকে সংযম করিতে হইলে, আমাদিগকে উহাদের মূলে গিয়া সংযম করিতে হইবে । তখনই, কেবল তখনই আমরা উহাদের বীজপৰ্যন্ত দগ্ধ করিয়া ফেলিতে পারিব ; যেমন 及哆态 > 3