পাতা:রাজযোগ.djvu/২২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগসূত্র তাহাদের বিন্যাসের প্রণালীতে। যদি তুমিই ঐ বিষ্কাসের কৰ্ত্তী হও, তাহা হইলে তুমি যেরূপে ইচ্ছ, ঐ তন্মাত্রাগুলির বিষ্ঠাস করিয়া শরীর রচনা করিতে পার। এই শরীর তুমি ছাড়া আর কে নিৰ্ম্মাণ করিয়াছে ? আহার করে কে ? যদি আর একজন তোমার হইয়া আহার করিয়া দিত তোমাকে বড় বেশী দিন বাচিতে হইত না। ঐ খাদ্য হইতে রক্তই বা উৎপাদন করে কে ? নিশ্চয়, তুমিই। ঐ রক্তকে বিশুদ্ধ করিয়া ধমনীর মধ্যে প্রবাহিত করিতেছে কে ? তুমিই । আমরাই দেহের কর্তা এবং উহাতে বাস করিড়েছি। কেবল উহা কিরূপে নূতন করিয়া গড়িতে হয়, সেই জ্ঞান আমরা হারাইয়া ফেলিয়াছি। আমরা যন্ত্র-তুল্য অবনতস্বভাব হইয়া পড়িয়াছি। আমরা দেহের পরমাণুগুলির বিষ্ঠাসপ্রণালী ভুলিয়া গিয়াছি। সুতরাং আমবা এক্ষণে যাহা যন্ত্রবৎ করিতেছি, তাহা জ্ঞাতসাবে করিতে হইবে । আমবাই কৰ্ত্তা, সুতরাং আমাদিগকেই এই বিদ্যাসপ্রণালীকে নিয়মিত করিতে হইবে। ইহাতে কৃতকাৰ্য্য হইলেই আমরা ইচ্ছামত নুতন করিয়া দেহের নিৰ্ম্মাণে সমর্থ হইব ; তখন আমাদের জন্ম, মৃত্যু, ব্যাধি আদি কিছুই থাকিবে না। সতিমূলে তদ্বিপাকো জাত্যায়ুর্ভোগাঃ ॥ ১৩ ॥ সূত্রার্থ।—মনে এই সংস্কাররূপ মূল থাকায় তাহার ফলস্বরূপ মনুষ্যাদি জাতি, ভিন্ন ভিন্ন পরমায়ু ও সুখহঃখাদি ভোগ হয়। ❖ ነ¢