পাতা:রাজযোগ.djvu/২৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ ব্যাখ্যা। মূল অর্থাৎ সংস্কাররূপী কারণগুলি ভিতরে থাকাতে তাহারাই ব্যক্তভাব ধারণ করিয়া ফলরূপে পরিণত হয় । কারণের নাশ হইয়া কার্য্যের উদয় হয়, আবার কার্য্য স্বক্ষভাব ধারণ করিয়া পরবর্তী কার্ধ্যের কারণস্বরূপ হয়। বৃক্ষ বীজ প্রসব করে ; বীজ আবার পরবর্তী বৃক্ষের উৎপত্তির কারণ হইয়া থাকে। এই রূপেই কাৰ্য্যকারণপ্রবাহ চলিতে থাকে। আমরা এক্ষণে যে কিছু কৰ্ম্ম করিতেছি, সমুদয়ই পূৰ্ব্বসংস্কারের ফলস্বরূপ। এই কাৰ্য্যগুলি আবার সংস্কাররূপে পরিণত হইয়া ভবিষ্যৎ কাৰ্ঘ্যের কারণ হইবে ? এইরূপেই কাৰ্য্যকারণ প্রবাহ চলিতে থাকে। এই স্বত্র এই জন্তই বলিতেছে যে, কারণ থাকিলে, তাহার ফল বা কাৰ্য্য অবশুই হইবে । এই ফল প্রথমতঃ, জাতিরূপে প্রকাশ পায় ; কেহ বা মানুষ হইবেন, কেহ দেবতা, কেহ পশু, কেহ বা অমুর হইবেন । দ্বিতীয়তঃ, এই কৰ্ম্ম আবার আয়ুকেও নিয়মিত করিবে । একজন হয়ত পঞ্চাশবর্ষ জীবিত থাকিয়া মৃত্যুমুখে পতিত হয়, অপরের জীবন হয়ত শত বর্ষ, আবার কেহ হয়ত, দুই বৎসর জীবিত থাকিয়াই মৃত্যুমুখে পতিত হয়, সে আর মোটেই পূৰ্ণবয়স্ক হয় না। এই যে বিভিন্নত, ইহা কেবল পূর্বকৰ্ম্ম দ্বারা নিয়মিত হয়। কাহাকেও দেখিলে বোধ হয় যে, কেবল মুখভোগের জন্তই তাহার জন্ম ; যদি সে বনে গিয়া লুকাইয়া থাকে, মুখ যেন তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ যাইবে। আর একজন যেখানেই যায়, দুঃখ যেন * তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ ধাবিত হয়, সবই তাহার নিকট দুঃখময় হইয়া দাড়ায়। এই সম্মাই উহাদের নিজ নিজ পূৰ্ব্বকৰ্ম্মের ফল। রোগীদিগের ২১৬