পাতা:রাজযোগ.djvu/২৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ ঠর বলিয়াছিলেন, “জীবনে সৰ্ব্বাপেক্ষ আশ্চৰ্য্য ঘটনা এই যে, প্রতি মুহূৰ্ত্তেই আমবা ভূতগণকে মৃত্যুমুখে পতিত হইতে দেখিতেছি, তথাপি আমবা মনে করিতেছি, আমরা কখনই মবিব না।” চতুর্দিকে মূর্থ ব্যক্তিগণ দ্বারা পরিবেষ্টিত হইয়া মনে করিতেছি, আমবাই একমাত্র পণ্ডিত—আমরাই কেবল মুর্থশ্রেণী হইতে স্বতন্ত্র। চতুর্দিকে সৰ্ব্বপ্রকার চঞ্চলতার দৃষ্টাস্তে বেষ্টিত হইয়। আমরা মনে করিতেছি, আমাদের ভালবাসাই একমাত্র স্থায়ী ভালবাস । ইহা কি করিয়া হইতে পারে ? ভালবাসাও স্বার্থপরতা মিলিত। যোগী বলেন, পরিণামে দেখিতে পাইব, এমন কি, পতিপত্নীর প্রেম, সন্তানের প্রতি ভালবাসা এবং বন্ধুগণের প্রণয় পৰ্য্যন্ত অল্পে অল্পে ক্ষয় হইয়া নাশ পায়।’ এই সংসাবে ক্ষয় প্রত্যেক বস্তুকেই আক্রমণ করিয়া থাকে। যখনই, কেবল যখনই, সংসাবের সকল বাসনায়, এমনু কি, ভালবাসাতেও আমরা নিরাশ হই, তখনই যেন চকিতের ন্তায় মানুষ বুঝিতে পারে, এই জগৎ কি ভ্ৰম ! যেন স্বল্পসদৃশ । তখনই এক বিন্দু বৈরাগ্যভাব তাহার হৃদয়ে উদিত হইয়া থাকে, তখনই সে জগতের অতীত সত্তার যেন একটু আভাস পায়। এই জগৎকে ত্যাগ করিলেই পারলৌকিক তত্ত্ব হৃদয়ে উদ্ভাসিত হয় ; এই জগতের মুখে আসক্ত থাকিলে, ইহা কখনও সম্ভাবিত হইতে পারে না । এমন কোন মহাত্মা হন নাই, যাহাকে এই উচ্চাবস্থা লাভের জন্ত ইক্রিয়সুখভোগ ত্যাগ করিতে হয় নাই। দুঃখের কারণ, প্রকৃতির বিভিন্ন শক্তিগুলির পরম্প্ররণ বিরোধ। " মানুষকে একটি একদিকে, অপরটি আর ᎸᎽv