পাতা:রাজযোগ.djvu/২৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ वTांथTां । आॉर्भि আপনাদিগকে পূৰ্ব্বপূৰ্ব্ব বক্তৃতায় বলিয়াছি যে যোগশাস্ত্র সাংখ্যদর্শনের উপর স্থাপিত, এখানেও পুনৰ্ব্বার সাংখ্যদর্শনের জগৎস্বষ্টিপ্রকরণ আপনাদিগকে স্মরণ করাইয়া দিব। সাংখ্য মতে, প্রকৃতিই জগতের নিমিত্ত ও উপাদান কারণ এই উভয়ই । এই প্রকৃতি আবার ত্রিবিধ ধাতুতে নিৰ্ম্মিত, যথা—সত্ত্ব, রজঃ, তমঃ । তমঃ পদার্থটি কেবল অন্ধকারস্বরূপ, যাহা কিছু অজ্ঞানাত্মক ও গুরু পদার্থ সবই তমোময়। বজঃ ক্রিয়াশক্তি । সত্ত্ব স্থির, প্রকাশস্বভাব । স্বষ্টির পূর্বে প্রকৃতি যে অবস্থায় থাকেন, তাহাকে সাংখ্যে অব্যক্ত, অবিশেষ বা অবিভক্ত বলে ; ইহার অর্থ এই, যে অবস্থায় নামরূপের কোন প্রভেদ নাই, যে অবস্থায় ঐ তিনটি পদার্থ ঠিক সাম্যভাবে থাকে। তৎপরে যখন এই সাম্যাবস্থা নষ্ট হইয়া বৈষম্যাবস্থা আইসে, তখন এই তিন পদার্থ পৃথকৃ পৃথক্ ভাবে পরস্পর মিশ্রিত হইতে থাকে, তাহার ফল এই জগৎ । প্রত্যেক ব্যক্তিতেও এই তিন পদার্থ বিরাজমান। যখন সত্ত্ব প্রবল হয়, তখন জ্ঞানের উদয় হয়, রজঃ প্রবল হইলে ক্রিয়া বৃদ্ধি হয়, আবার তমঃ প্রবল হইলে অন্ধকার, আলস্ত ও অজ্ঞান আইসে। সাংখ্যমতানুসারে ত্রিগুণময়ী প্রকৃতির সর্বোচ্চ প্রকাশ মহৎ অথবা বুদ্ধিতত্ত্ব—উহাকে সৰ্ব্বব্যাপী বা সাৰ্ব্বজনীন বুদ্ধিতত্ত্ব বলা যায়। প্রত্যেক মমুম্বাবুদ্ধিই এই সৰ্ব্বব্যাপী বুদ্ধিতত্ত্বের একটি অংশমাত্র। সাংখ্যমনোবিজ্ঞান মতে মন ও বুদ্ধির মধ্যে বিশেষ প্রভেদ আছে । মনের কার্ধ্য বেল বিবাতিঘাতজনিত বেদনাগুলিকে লইয়া ভিতরে জড় 及及8