পাতা:রাজযোগ.djvu/২৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগসূত্র করা ও বুদ্ধির অর্থাৎ ব্যষ্টি বা ব্যক্তিগত মহতের নিকট প্রদান করা। বুদ্ধি ঐ , সকল বিষয় নিশ্চয় করে। মহৎ হইতে অহংতত্ত্ব ও অহংতত্ব হইতে স্বক্ষ-ভূতের উৎপত্তি হয়। এই হুঙ্গা-ভূতসকল আবার পরস্পর মিলিত হইয়া এই বাহ স্থলভূতরূপে পরিণত হয় ; তাহা হইতেই এই স্থল জগতের উৎপত্তি ; সাংখ্যদর্শনের মত—বুদ্ধি হইতে আরম্ভ করিয়া একখণ্ড প্রস্তর পর্য্যন্ত সমুদয়ই এক পদার্থ হইতে উৎপন্ন হইয়াছে, কেবল স্বক্ষতা ও স্থলতা লইয়াই উহাদূের প্রভেদ। সুহ্ম কারণ, স্কুল কাৰ্য্য। সাংখ্যদর্শনের মতে পুরুষ সমুদয় প্রকৃতির বাহিবে, তিনি জড় নহেন। বুদ্ধি, মন, তন্মাত্রা অথবা স্থল-ভূত, পুরুষ কাহারই সদৃশ নহেন। ইনি সম্পূর্ণ পৃথক্ ইহাব প্রকৃতি সম্পূর্ণ ভিন্নরূপ। ইহা হইতে র্তাহার সিদ্ধাস্ত করেন যে, পুরুষ অবশু মৃত্যুরহিত, অজর, অমর কারণ, উনি কোন প্রকার মিশ্রণ হইতে উৎপন্ন নন। যাহা মিশ্রণ হইতে উৎপন্ন নয়, তাহার কখন নাশ হইতে পারে না । এই পুরুষ বা আত্মাসমুহের সংখ্যা অগণন। এক্ষণে আমরা এই স্বত্রটির তাৎপৰ্য্য বুঝিতে পারিব। বিশেষ অর্থে স্থল ভূতগণকে লক্ষ্য করিতেছে—যেগুলিকে আমরা ইন্দ্রিয় দ্বারা উপলব্ধি করিতে পারি। অবিশেষ অর্থে স্বল্পভূত —তন্মাত্রা, এই তন্মাত্র, সাধারণ লোকে উপলব্ধি করিতে পারে না। কিন্তু পতঞ্জলি বলেন, “যদি তুমি যোগাভ্যাস কর, কিছুদিন পরে তোমার অনুভবশক্তি এতদূর স্বল্প হইবে যে, তুমি তন্মত্রগুলিকে বাস্তবিক প্রত্যক্ষ করিবে।’ তোমরা (

) (R