এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতরণিকা জোতিৰ্ব্বিং নিজের মনের সমুদয় শক্তিগুলি একত্রিত করিয়া তাহাকে দূরবীক্ষণ যন্ত্রের মধ্য দিয়া আকাশে প্ৰক্ষেপ করেন, আর অমনি তারা, সূৰ্য্য, চন্দ্র ইহার| সকলেই আপন আপন রহস্য র্তাহার নিকট ব্যক্ত করে । আমি যে বিষয়ে কথা কহিতেছি, সে বিষয়ে আমি যতই মনোনিবেশ করিতে পারিব ততই সেই বিষয়ের গুঢ় তত্ত্ব তোমাদের নিকট প্রকাশ করিতে পারিব । তোমরা আমার কথা শুনিতেছ ; তোমরাও যতই এ বিষয়ে মনোনিবেশ করিবে, ততই আমার কথা স্পষ্টভাবে ধারণা করিতে পারিবে । মনের একাগ্রতা-শক্তি ব্যতিরেকে আর কীরূপে জগতে এই সকল জ্ঞান লব্ধ হইয়াছে ? প্রকৃতিৰ দ্বারদেশে আঘাত প্রদান করিতে জানিলে,—তথায় যেরূপ ধাক্কা দেওয়া প্রয়োজন, তাহা দিতে জানিলে—প্রকৃতি তাহার রহস্ত উদঘাটিত করিয়া দেন এবং সেই আঘাতের শক্তি ও তেজঃ, একাগ্রত হইতেই আইসে। মনুষ্যমনের শক্তির কোন সীমা নাই ; উহা যতই একাগ্র হয়, ততই উহার শক্তি এক লক্ষ্যের উপর আইসে এবং ইহাই রহস্ত । মনকে বহিবিষয়ে স্থির করা অপেক্ষাকৃত সহজ । মন স্বভাবতঃই বহিমুখী ; কিন্তু ধৰ্ম্ম, মনোবিজ্ঞান, কিংবা দর্শন বিষয়ে জ্ঞাত ও জ্ঞেয় ( বা বিষয়ী ও বিষয় ) এক। এখানে প্রমের একটি আভ্যন্তরীণ বস্তু, মনই এখানে প্রমেয় । মনস্তত্ত্ব अक्बन করাই এখানে প্রয়োজন, আর মনই মনস্তত্ব পর্য্যবেক্ষণ করিবার কর্তা। আমরা জানি যে, মনের এমন একটি ক্ষমতা আছে, ৰদ্বারা উহা নিজের ভিতরে যাহা হইতেছে, তাহা দেখিতে পারে— উহাকে অন্তঃপৰ্য্যবেক্ষণ শক্তি বলা যাইতে পারে । আমি তোমাদের 3 S