এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ সহিত কথা কহিতেছি ; আবার ঐ সময়েই আমি যেন আর একজন লোক বাহিরে দাড়াইয়া রহিয়াছি এবং ঘাহা করিতেছি তাহ। জানিতেছি ও শুনিতেছি। তুমি এক সময়ে কার্ধ্য ও চিন্তা উভয়ই করিতেছ, কিন্তু তোমার মনের আর এক অংশ যেন বাহিরে দাড়াইয়া, তুমি যাহা চিন্তা করিতেছ, তাহ দেখিতেছে। মনের সমুদয় শক্তি একত্রিত করিয়া মনের উপরেই প্রয়োগ করিতে হইবে। যেমন স্বর্ঘ্যের তীয় রশ্মির নিকট অতি অন্ধকারমঞ্চ স্থানসকলও তাহাদের গুপ্ত তথ্য প্রকাশ করিয়া দেয়, তদ্রুপ এই একাগ্র মন নিজের অতি অন্তরতম রহস্য সকল প্রকাশ করিয়া দিবে। তখন আমরা বিশ্বাসের প্রকৃত ভিত্তিতে উপনীত হইব । তখনই আমাদের প্রকৃত ধৰ্ম্মলাভ হইবে । তখনই আত্মা আছেন কি না, জীবন কেবল এই সামান্ত জীবিত কালেই পধ্যাপ্ত বা অনন্তব্যাপী ও জগতে ঈশ্বর কেহ আছেন কি না, আমরা স্বয়ং দেখিতে পাইব । সমুদয়ই আমাদের জ্ঞান-চক্ষের সমক্ষে উদ্ভাসিত হইবে। রাজযোগ ইহাই আমাদিগকে শিক্ষা দিতে অগ্রসর । ইহাতে যত উপদেশ আছে, তৎসমুদয়ের উদ্দেশু— প্রথমতঃ মনের একাগ্রতা-সাধন, তৎপরে উহার গভীরতম প্রদেশে কত প্রকার ভিন্ন ভিন্ন কাৰ্য্য হইতেছে, তাহার জ্ঞানলাভ, তৎপরে ঐগুলি হইতে সাধারণ সত্যসকল নিষ্কাশন করিয়া তাহা, হইতে নিজের একটা সিন্ধান্তে উপনীত হওয়া । এই জঙ্কই রাজযোগ শিক্ষা করিতে হইলে, ড়োমার ধৰ্ম্ম যাহাই श्डेकতুমি আস্তিক হও, নাস্তিক হও, মাহদি হও, বৌদ্ধ হও, অথবা খ্ৰীষ্টানই হও—তাহাতে কিছুই আসিয়া যায় না। তুমি