এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতরণিকা মানুষ—তাহাই যথেষ্ট। প্রত্যেক মন্থন্যেরই ধৰ্ম্মতত্ত্ব অনুসন্ধান করিবার শক্তি আছে, অধিকারও আছে। প্রত্যেক ব্যক্তিরই যে কোন বিষয়ে হউক না কেন, তাহার কারণ জিজ্ঞাসা করিবার অধিকার আছে, আর তাহার এমন ক্ষমতাও আছে যে, সে নিজের ভিতর হইতেই সে প্রশ্নের উত্তর পাইতে পারে। তবে অবশু ইছার জন্য একটু কষ্ট স্বীকার করা আবশুক । এতক্ষণ দেখিলাম, এই রাজযোগ-সাধনে কোন প্রকার বিশ্বাসের) T আবগুক করে না। যতক্ষণ না নিজে প্রত্যক্ষ করিতে পার, ততক্ষণ কিছুই বিশ্বাস করিও না, রাজযোগ ইহাই শিক্ষা দেন। সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করিবার জন্য অন্ত কোন সহায়তার আবশ্যক করে না। তোমবা কি বলিতে চাও যে জাগ্রত অবস্থাৰ সত্যতা প্রমাণ করিতে স্বপ্ন অথবা কল্পনার সহায়তার আবশু্যক হয় ? কখনই নহে। এই রাজযোগ সাধনে দীর্ঘকাল ও নিরস্তুর অভ্যাসের প্রয়োজন হয়। এই অভ্যাসের কিয়দংশ শরীর-সংযমবিষয়ক । কিন্তু ইহার অধিকাংশষ্ট মনঃসংযমাত্মক। আমরা ক্রমশঃ বুঝিতে পারিব, মন শরীরের সহিত কিরূপ সম্বন্ধে সম্বন্ধ। যদি আমরা বিশ্বাস করি যে, মন কেবল শবীরেব সূক্ষ্ম অবস্থাবিশেষ মাত্র, আর মন শরীরের উপর কার্য্য করে, এ সত্যে যদি আমাদের বিশ্বাস থাকে, তাহা হইলে ইহাও স্বীকার করিতে হইলে যে, শরীরও মনের উপর কার্য্য করে। শরীর অসুস্থ হইলে মন অসুস্থ হয়, শরীর সুস্থ থাকিলে মনও মুম্ব ও সতেজ থাকে। যখন কোন ব্যক্তি ক্রোধাম্বিত হয়, তখন তাহার মন অস্থির হয়। মনের অস্থিরতা হেতু শরীরও সম্পূর্ণ অস্থির হইয়া পড়ে। অধিকাংশ >S)