পাতা:রাজযোগ.djvu/২৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ হইতে বহিরঙ্গ। এই ধারণাদি অবস্থা লাভ করিলে অবঙ্গ মানুষ সৰ্ব্বজ্ঞ ও সৰ্ব্বশক্তিমান হইতে পারে, কিন্তু সৰ্ব্বজ্ঞতা বা সৰ্ব্বশক্তিমত্তা ত মুক্তি নহে। কেবল ঐ ত্ৰিবিধ সাধন দ্বারা মন নিৰ্ব্বিকল্পক অর্থাৎ পরিণামপুস্ত হইতে পারে না, ঐ ত্রিবিধ সাধন আয়ত্ত হইলেও দেহধারণের বীজ থাকিয়া যাইবে । যখন সেই বীজগুলি যোগীদের ভাষায় যাহাকে ভজ্জিত বলে, তাহাই হইয়া যায়, তখন তাঁহাদের পুনরায় বৃক্ষ উৎপন্ন করিবার উপযোগী শক্তিটি নষ্ট হইয়া যায়। শক্তিসমূহ কখনই বীজগুলিকে ভজ্জিত করিত্বে পারে না। তদপি বহিরঙ্গং নিববীজস্য ॥৮ সূত্রার্থ। — কিন্তু এই সংযমও নিববীজ সমাধির পক্ষে বহিরঙ্গস্বরূপ । ব্যাখ্য' । এই কারণে শিবরাজ সমাধির সহিত তুলনা করিলে এইগুলিকেও বহিরঙ্গ বলিতে হইবে। সংঘমলাভ হইলে আমরা বস্তুতঃ সৰ্ব্বোচ্চ সমাধি অবস্থা লাভ না করিয়া একটি নিম্নতর ভূমিতে মাত্র অবস্থিত থাকি। সেই অবস্থায় এই পরিদৃপ্তমান জগৎ বিদ্যমান থাকে, সিদ্ধি সকল এই জগতেরই অন্তর্গত । ব্যুত্থান-নিরোধসংস্কারয়োরভৃিভবপ্রাদুর্ভাবে নিরোধক্ষণচিত্তান্বয়ো নিরোধপরিণামঃ ॥৯॥ সূত্রার্থ।—যখন বুখান অর্থাৎ মনশ্চাঞ্চল্যের ミ*●