পাতা:রাজযোগ.djvu/২৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগসূত্র অভিভব ( নাশ) ও নিরোধ-সংস্কারের আবির্ভাব হয়, তখন চিত্ত নিরোধ-নামক-অবসরের অনুগত হয়, উহাকে নিরোধপরিণাম বলে । ল্যাখ্যা । ইহার অর্থ এই যে, সমাধির প্রথম অবস্থায় মনের সমুদয় বৃত্তি নিরুদ্ধ হয় বটে, কিন্তু সম্পূর্ণরূপে নহে, কারণ, তাহা হইলে কোন প্রকার বৃত্তিই থাকিত না। মনে কর, মনে এমন এক প্রকার বৃত্তি উদয় হইয়াছে, যাহাতে মনকে ইঞ্জিয়ের দিকে লইয়া যাইতেছে, আর যোগী ঐ বৃত্তিকে সংযম করিবার চেষ্টা করিতেছেন। এ অবস্থায় ঐ সংযমটিকেও একটি বৃত্তি বলিতে হইবে। একটি তরঙ্গ আর একটি তরঙ্গের দ্বারা নিবারিত হইল, সুতরাং, উহা সৰ্ব্বতরঙ্গের নিবৃত্তিরূপ সমাধি নহে, কারণ, ঐ সংযমটিও একটি তরঙ্গ । তবে ক্ষে অবস্থায় মনে তরঙ্গের পর তরঙ্গ আসিতে থাকে, তদপেক্ষ এই নিম্নতর সমাধি সেই উচ্চতর সমাধির নিকটবৰ্ত্তী বটে। তস্য প্রশান্তবাহিতা সংস্কারাৎ ॥১০ ॥ সূত্রার্থ।—অভ্যাসের দ্বারা ইহার স্থিরতা হয়। ব্যাখ্যা । প্রতিদিন নিয়মিতরূপে অভ্যাস করিলে ও সদাসৰ্ব্বদা একাগ্রতার শক্তি লাভ করিলে মনের এই নিয়ত সংযম প্রবাহাকারে চলিতে থাকে ও উহার স্থিরতা হয় । সৰ্ব্বার্থতৈকাগ্রতয়োঃ ক্ষয়োদয়ে চিত্তস্ত সমাধিপরিণামঃ ॥১১॥ ミや3