পাতা:রাজযোগ.djvu/২৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগসূত্র অভ্যাসের দ্বারা মন কেবল একমাত্র সেইটিই ধারণা করিয়া মুহূৰ্ত্তমধ্যে সেই অবস্থায় উপনীত হইবার শক্তি লাভ করে, তখন তাঙ্গকেই সংযম বলে। এই অবস্থা লাভ করিয়া যদি কেহ ভূত ভবিষ্যৎ জানিতে ইচ্ছা করেন, তাহাকে কেবল সংস্কারের পরিণামগুলির উপর সংযম প্রয়োগ করিতে হইবে। কতকগুলি ংস্কার বর্তমান অবস্থায় কাৰ্য্য করিতেছে, কতকগুলির ভোগ শেষ হইয়া গিয়াছে আর কতকগুলি এখনও ফল প্রদান করিবে বলিয়া সঞ্চিত রহিয়াছে । এই গুলির উপব সংযম প্রয়োগ করিয়া তিনি ভূত ভবিষ্যৎ সমুদয় জানিতে পারেন। শবদার্থপ্রত্যয়ানমিতরেতরাধ্যাসাৎ সঙ্করস্তৎপ্রবিভাগসংযমাৎ সববভূতরুতজ্ঞানম্ ॥ ১৭ ॥ সূত্রার্থ।—শব্দ, অর্থ ও প্রত্যয়ের পরস্পরে পরস্পরের আরোপ জন্য এইরূপ সংকারাবস্থা হইয়াছে, উহাদিগের প্রভেদগুলির উপর সংযম করিলে সমুদয় ভূতের শব্দজ্ঞান হইয়া থাকে। ব্যাখ্যা । শব্দ বলিলে বাহবিষয়—যাহাতে মনে কোন বৃত্তি জাগরিত করিয়া দেয়, তাহাকে বুঝিতে হইবে। অর্থ বলিলে ষে শরীরাভ্যন্তরীণ প্রবাহ ইঞ্জিয়দ্বার দ্বারা লন্ধ বিষয়াভিঘাতজনিত বেদনাকে ইয়া গিয়া মন্তকে পহছিয়া দেয়, তাহাকে বুঝিতে হইবে, আর জ্ঞান বলিলে মনের ষে প্রতিক্রিয়া, যাহা হইতে বিষয়ানুভূতি হয় তাহাকেই বুঝিতে হইবে। এই তিনটি মিশ্রিত হইয়াই আমাদের ইঞ্জিয়গোচর বিষয় উৎপন্ন হয়। ২৬৫