পাতা:রাজযোগ.djvu/২৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগসূত্র পারেন, তবে তিনি পূৰ্ব্বজন্মের কথা স্বরণ করিতে আরম্ভ করিবেন। প্রত্যয়স্য পরিচিত্তজ্ঞানম্ ॥ ১৯ ॥ সূত্রার্থ।—অপরের শরীরে যে সকল চিহ্ন আছে, তাহাতে সংযম করিলে সেই ব্যক্তির মনের ভাব জানিতে পারা যায়। ব্যাখ্যা। প্রত্যেক ব্যক্তির শরীরেই বিশেষ বিশেষ প্রকার চিহ্ন আছে, তদ্বারা তাহাকে অপর ব্যক্তি হইতে পৃথক করা যায়। যখন যোগী কোন ব্যক্তির এই বিশেষ চিহ্নগুলির উপর সংযম কবেন, তখন তিনি সেই ব্যক্তির মনের অবস্থা জানিতে পারেন। ন চ তৎ সালম্বনং তস্তাবিষয়ীভূতত্বাৎ ॥ ২০ ॥ সূত্রার্থ –কিন্তু ঐ চিত্তের অবলম্বন কী, তাহা জানিতে পারেন না, কারণ, উহা তাহার সংযমের বিষয় নহে।

  • ব্যাখ্যা। পূৰ্ব্বে যে শরীবের উপর সংযমের কথা বলা হইয়াছে, তদ্বারা তাহার মনের ভিতরে তথন কি হইতেছে, তাহা জানিতে পার; মায় না। এখানে দুইবার সংযম করিবার আবগুক হইবে, প্রথম শরীরের লক্ষণসমূহের উপর ও তৎপরে মনের উপর সংযম প্রয়োগ করিতে হুইবে । তাহা হইলে যোগী সেই ব্যক্তির মনের সমুদয় ভাৰ জানিতে পরিবেন।