এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতরণিকা উপর কোন প্রভাব বিস্তার করিতে পরিবে না, যে অবস্থায় তিনি ঐ সমুদয় অতিক্রম করিতে পারিবেন। তখন তিনি, আভ্যন্তরিক" ও বাহ সমুদয় প্রকৃতির উপর প্রভুত্ব লাভ করেন। মনুষ্যজাতির উন্নতি ও সভ্যতা, এই প্রকৃতিকে বশীভূত করার শক্তির উপর নির্ভর করে। এই প্রকৃতিকে বশীভূত করিবার জন্ত ভিন্ন ভিন্ন জাতি ভিন্ন ভিন্ন প্রণালী অবলম্বন করিয়া থাকে। যেমন একই সমাজের মধ্যে কতকগুলি ব্যক্তি বাহপ্রকৃতি, কতকগুলি আবার অন্তঃপ্রকৃতি বশীভূত করিতে চেষ্টা পায়, সেইরূপ ভিন্ন ভিন্ন জাতির মধ্যে কোন কোন জাতি বাহ ও কোন কোন জাতি অন্তঃপ্রকৃতি বশীভূত করিতে চেষ্টা করে। কাহারও মর্তে, অন্তঃপ্রকৃতি বশীভূত 7 করিলেই সমুদয় বশীভূত হইতে পারে ; কাহারও মতে বা বাহ প্রকৃতি বশীভূত করিলেই সমুদয় বশীভূত হইতে পারে। এই দুইটি সিদ্ধান্তের চরমভাব লক্ষ্য করিলে ইহা প্রতীয়মান হয় যে, এই উভয় সিদ্ধান্তই সত্য ; কারণ প্রকৃতপক্ষে বাহ অভ্যস্তর বলিয়া কোন ভেদ নাই । ইহা একটি কাল্পনিক বিভাগ মাত্র। এইরূপ বিভাগের অস্তিত্বই নাই, কখনও ছিল না। বহিৰ্ব্বাদী বা অন্তৰ্ব্বাদী উভয়ে যখন স্বস্ব জ্ঞানের চরম সীমা লাভ করিবেন, তখন একস্থানে উপনীত হইবেনই হইবেন । যেমন বহির্বিজ্ঞানবাণী নিজ জ্ঞানকে চরম সীমায় লইয়া যাইলে শেষকালে তাহাকে দার্শনিক হইতে হয়ু সেইরূপ দার্শনিকও দেখিবেন, তিনি মন ও ভূত বলিয়া যে দুইটি ভেদ করেন, তাহা বাস্তবিক কাল্পনিক মার, তাহা একদিন একেবারেই চলিয়া যাইবে । 3 (t